রাম-হনুমানের পর জগন্নাথদেবের শরণে বিজেপি! বাড়তি অক্সিজেন পেতে সেই ধর্মের লাইন
কেন্দ্রীয় নির্দেশ মেনেই বিজেপি টার্গেট করছে রথযাত্রাকে। ধর্মীয় মিছিলের মাধ্যমেই রাজ্যে ঘাঁটি গড়ার এই চেষ্টা কি সফল হবে?
ধর্মীয় তাস ফেলেই রাজ্য-রাজনীতিতে নিজেদের ভিত শক্ত করতে চাইছে বিজেপি। তাই ফের কেন্দ্রের শাসকদল ফিরছে ধর্মীয় অনুষ্ঠান উপলক্ষে মিছিলের রাজনীতিতে। রামনবমী ও হনুমান জয়ন্তীর পর বিজেপি-র এবার টার্গেট রথযাত্রা। এবার রাজ্য বিজেপি মিছিল করবে রথযাত্রাতেও। কেন্দ্রীয় নির্দেশ মেনেই বিজেপি ধর্মকে ফের টেনে আনছে রাস্তায়। রাম-হনুমানের পর জগন্নাথদেবকে নিয়ে রাজনীতিতে নামাচ্ছে বিজেপি!
ইতিমধ্যে নির্দেশিকা চলে এসেছে বিজেপির রাজ্য দফতরেও। কেন্দ্রীয় নির্দেশ মেনে শুধু কলকাতাই নয়, এবার জেলাজুড়েও বিশেষ প্রচারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে রথযাত্রায়। পঞ্চায়েত ভোটের আগে দলকে তরতাজা রাখতেই এই নয়া তাস ফেলেছেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। সেই মতোই সাজানো হয়েছে পরিকল্পনা।
রামনবমীতে বিরাট সাফল্য পেয়েছে রাজ্য বিজেপি। সেই সাফল্য ছাপিয়ে গিয়েছে হনুমান জয়ন্তীতে। অস্ত্র হাতে মিছিলে রাজ্যজুড়ে বিতর্ক তৈরি হলেও, সেই মিছিল যে রাজ্য বিজেপিকে অনেকটাই মাইলেজ দিয়েছে, তা বলাই বাহুল্য। এবার সেই সূত্র ধরেই রথযাত্রাতেও রাজ্যজুড়ে মিছিলের পরিকল্পনা চূড়ান্ত।
এমনকী
রথের
দড়িতে
টান
দিতে
কেন্দ্রীয়
নেতারাও
আসতে
পারেন
রাজ্যে।
রাজ্যে
প্রচারে
ঝড়
তুলতে
রথযাত্রার
অনুষ্ঠানে
যোগ
দেওয়া
এবং
সেইসঙ্গে
বিভিন্ন
এলাকায়
রথ
নিয়ে
মিছিল
করাই
বিজেপি-র
উদ্দেশ্য।
কলকাতা
ছাড়াও
বিভিন্ন
জেলাতেও
মিছিলের
আয়োজন
হবে।
আর
কেন্দ্রীয়ভাবে
একটি
মিছিলের
আয়োজন
করা
হচ্ছে
কলকাতায়।
বিজেপি
ছাড়াও
মিছিল
বের
করা
হবে
হিন্দু
সংহতি,
বজরং
দল,
হিন্দু
জাগরণ
মঞ্চের
পক্ষ
থেকেও
মিছল
বের
করা
হবে।
যে সমস্ত জেলায় বিখ্যাত রথ আছে, সেখানে সেই রথের অনুকরণ রথ বানিয়ে মিছিল করবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি। হুগলিতে মাহেশের রথ, পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের রথের অনুকরণে রথ বানিয়ে মিছিল করা হবে।