টলিউডে প্রবেশ পর রাজ্যে বিজেপির তৎপরতা! মমতাকে চ্যালেঞ্জ করে তৃণমূলের 'বাঙালিয়ানা' দখলের লক্ষ্য
লোকসভা ভোটের পর থেকে রাজনৈতিকভাবে বিজেপির চ্যালেঞ্জের সামনে পড়েছে তঋণমূল। অন্যদিকে, সামাজিকভাবেই চ্যালেঞ্জের মুখে তারা।
লোকসভা ভোটের পর থেকে রাজনৈতিকভাবে বিজেপির চ্যালেঞ্জের সামনে পড়েছে তৃণমূল। অন্যদিকে, সামাজিকভাবেই চ্যালেঞ্জের মুখে তারা। নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহরা রাজ্যের নেতা কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন সব থেকে বড় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম দুর্গাপুজোয় যুক্ত হতে। সেই কাজে যুক্ত হতে শুরু করেছেন বিজেপি নেতা ও কর্মীরা।
তৃণমূলের 'বাঙালিয়ানা'কে চ্যালেঞ্জ
টলিউডে সফলভাবে প্রবেশের পর এবার বিজেপির লক্ষ্য হল তৃণমূলের বাঙালিয়ানার অংশ হওয়া। আস্তে আস্তে পুজো কমিটিগুলিতে ঢুকে যাওয়া। বিজেপি এখন থেকেই চেষ্টা শুরু করেছে কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতৃত্বকে দিয়ে বেশ কিছু পুজো মণ্ডপের উদ্বোধন করানো। এতদিন পর্যন্ত এক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও চ্যালেঞ্জার ছিলেন না।
বিজেপি-পুজো কমিটি আলোচনা
বেশ কয়েকটি পুজো কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, বিজেপি নেতারা নির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে তাদের কাছে এসেছিলেন। অনেক ক্ষেত্রে পুজো কমিটিগুলি গিয়েছে বিজেপির কাছে।
'বিজেপির চেষ্টা সফল হবে না'
একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের সদস্যের যুক্ত থাকা ভবানীপুরের একটি পুজো কমিটি এবং প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদের বাড়ির কাছের পুজোয় গেরুয়া বাহিনীর তরফে যুক্ত থাকার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কালীঘাটের সঙ্ঘশ্রী পুজো কমিটিতে দীর্ঘদিন ধরেই যুক্ত রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই পুজো কমিটির কয়েকজনের সঙ্গে বিজেপি নেতাদের বৈঠক হয়েছে বলে সূত্রের খবর। সাধারণভাবে একে তৃণমূলের কাছে ভয়ের বলে মনে হলেও, কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, বিজেপির অর্থবল থাকতে পারে, কিন্তু সাধারণ মানুষের কাছে বিজেপি নেতাদের গ্রহণযোগ্যতা নেই। ফলে তাদের চেষ্টা সফল হবে না বলেই মনে করেন তিনি।
কলকাতার বিখ্যাত পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম নাকতলা উদয়ন সংঘও রয়েছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এবছর বিজেপি সেখানে প্রবেশের চেষ্টা করছে একটা বড় অঙ্কের অর্থ দান করে। প্রস্তাব একটাই জাতীয় পর্যায়ের নেতা পুজোর উদ্বোধন করবেন। যদিও একথা উড়িয়ে দিয়েছেন এই পুজোর অন্যতম কর্তা তথা তৃণমূল কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত।
তবে এলাকারই একটু ছোট পুজোর কর্তারা এবার স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব থেকে দূরেই থাকতে চাইছেন বলে জানা যাচ্ছে। তাতে যদি বিরোধী পক্ষ থেকে একটু বড় চাঁদা পাওয়া যায় সেই আশায় রয়েছেন তাঁরা।
'পুজো দখলদারিতে ইচ্ছা নেই'
একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, এপ্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, দুর্গাপুজো বাঙালির সামাজিক বন্ধনের সব থেকে বড় জায়গা। সারা রাজ্যেই বিজেপি নেতা ও কর্মীরা সেই বন্ধনের অংশীদার হবেন। তবে তৃণমূলের মতো পুজো দখলদারিতে তাদের কোনও ইচ্ছা নেই বলে জানিয়েছেন তিনি। বিজেপি সূত্রে খবর, এবার দুর্গাপুজো উদ্ধোধনে যেসব কেন্দ্রীয় নেতানেত্রীরা তালিকায় রয়েছেন, তাঁরা হলেন, অমিত শাহ, স্মৃতি ইরানি, যোগী আদিত্যনাথ।
[আরও পড়ুন:কংগ্রেস সভাপতির পদে কি কোনও ইঞ্জিনিয়ার! যুবকের 'দাবি' ঘিরে জল্পনা]