তৃণমূলের দিদিকে বলো প্রচারকে কার্যত 'হাইজ্যাক' বিজেপির
রাজ্যে তৃণমূলের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক লড়াইয়ে দিদিকে বলোকেই বেছে নিল বিজেপি।
রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক লড়াইয়ে দিদিকে বলোকেই বেছে নিল বিজেপি। যাঁরা দিদিকে বলোতে ফোন করেও সমস্যার কোনও রকমের সমাধান করতে পারেননি, তাঁদেরই খুঁজে বের করতে চায় বিজেপি। এব্যাপারে সংগঠন তাদের সহায়ক হবে বলে মনে করছে গেরুয়া শিবির। এখন থেকেই এর খোঁজ শুরু হলেও, এর জন্য সময় লাগবে বলেও জানা গিয়েছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিদিকে বলো কর্মসূচি
গতমাসের শেষের দিকে তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নজরুল মঞ্চে 'দিদিকে বলো' কর্মসূচির সূচনা করেছিলেন। এর কর্মসূচিতে ফোন বা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কোনও অভিযোগ কিংবা পরামর্শ দেওয়া যাবে তৃণমূল নেত্রীকে। এরমাধ্যমে জনসংযোগ আরও বাড়বে বলেই জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিজেপির টার্গেটে সমস্যার সমাধান না পাওয়া মানুষজন
বিজেপি টার্গেট করতে শুরু করেছে, দিদিকে বলো কর্মসূচিতে ফোন করলেও সমস্যার সমাধান না পাওয়া মানুষজন। তাদের মতে, অনেকেই তাদের সমস্যার সমাধানের জন্য ফোন করবেন। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই পরিকাঠামো কিংবা আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে তা সমাধান করা যাবে না। সেই সব মানুষগুলোকেই খুঁজে বের করতে চায় বিজেপি।
শক্তি যখন সংগঠন
এই
কাজ
খুব
একটা
সহজ
নয়।
আবার
করা
যে
খুব
একটা
কঠিন
নয়,
তা
মানছেন
বিজেপি
নেতারা।
তারা
বলছেন,
যেসব
জায়গায়
বিজেপির
শক্তিশালী
সংগঠন
রয়েছে,
সেইসব
জায়গা
থেকে
এইসব
মানুষজনের
খোঁজ
আগে
পাওয়া
যাবে।
যেসব
মানুষগুলো
তৃণমূলের
সংগঠনের
ওপর
বিরক্ত
ছিলেন,
তাঁরাই
এবার
দিদিকে
বলোতে
সুরাহা
না
পেয়ে
আরও
ক্ষুব্ধ
হবেন
বলেই
মনে
করছে
বিজেপি
নেতৃত্ব।
এরপর
তাঁরা
আশপাশের
মানুষজনকে
জানালে,
তা
সংগঠনের
মাধ্যমে
রাজ্য
নেতৃত্বের
কাছে
পৌঁছে
যাবে।
হবে কেন্দ্রীয় সমাবেশ
বিজেপি সূত্রে খবর অনুযায়ী, সমস্যার সমাধান না পাওয়া মানুষজনকে নিয়েই বিজেপির তরফ থেকে ধর্মতলায় কেন্দ্রীয় সমাবেশ করা হবে। আর বিজেপির তরফে প্রতিশ্রুতি থাকবে, তারা ক্ষমতায় এলেই সমস্যার সমাধান করা হবে। বিজেপির কথায় দিদিকে বলো কর্মসূচিই ব্যুমেরাং হয়ে যাবে তৃণমূলের দিকেই।