তৃণমূলের মতুয়া ভোটে ভাঙন ধরানোই মূল লক্ষ্য, জাল পেতেছে বিজেপি, ফাঁস অডিও
১০টি সংসদ ক্ষেত্রের ভাগ্য নির্ধারণে মতুয়ারা নিয়ন্ত্রক বলে কথা। তাই বিজেপিও হাল ছাড়তে রাজি নয়। বিজেপি চাইছে, ঠাকুরনগরের ঠাকুর পরিবারে ভাঙন ধরিয়ে ফের নিজেদের প্রভাব প্রতিপত্তি বাড়াতে।
সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মতুয়া ভোট ধরে রাখতে ঠাকুরনগর যাওয়ার কথা জানিয়েছেন। বড়মার জন্মদিনে মমতা যাবেন ঠাকুর পরিবারে। ১০টি সংসদ ক্ষেত্রের ভাগ্য নির্ধারণে মতুয়ারা নিয়ন্ত্রক বলে কথা। তাই বিজেপিও হাল ছাড়তে রাজি নয়। বিজেপি চাইছে, ঠাকুরনগরের ঠাকুর পরিবারে ভাঙন ধরিয়ে ফের নিজেদের প্রভাব প্রতিপত্তি বাড়াতে।
আর সেই লক্ষ্যে বিজেপির প্রথম টার্গেট তৃণমূলের ঘর ভাঙানো। তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরকে মুকুল রায় বিজেপির দিকে আনতে চাইছেন। তা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র সঙ্গে ওই ফোনালাপে উঠে এসেছে। তবে মমতাবালার কথা মুকুল রায় জানালেও, বিষয়টি কৈলাশ বিজয়বর্গীয় এড়িয়ে গিয়েছেন।
২০১৬ উপনির্বাচনে এই কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থী মঞ্জুল-পুত্র সুব্রত ঠাকুর হেরে যান তৃণমূল প্রার্থী তাঁরই জেঠিমা মমতাবালা ঠাকুরের কাছে। উপনির্বাচনের আগেই মমতা মন্ত্রিসভার প্রাক্তনমন্ত্রী মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর সপুত্র তৃণমূল ত্যাগ করে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু ভোটে হেরে ক্ষমা স্বীকার করে ফের তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শিবিরে ফিরে যান।
সেই বিচারে আগেও ঠাকুরবাড়ির অন্দরে প্রবেশ করতে সক্ষম হয়েছিল বিজেপি। ২০১৯ নির্বাচনের আগে মতুয়া ভোটে ভাগ বসাতে ফের একবার চেষ্টার কসুর করছেন না মুকুল রায় ও কৈলাশ বিজয়বর্গীয়রা। আর যদি মমতাবালা হাতছাড়া হন, মুকুলের কাছে সবথেকে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছেন মঞ্জুল-জায়া।
মুকুলের কথায়, তিনিও লড়াকু মহিলা। মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর ও তাঁর ছেলে বিজেপির টিকিটে বনগাঁ উপনির্বাচনে লড়াই করা সুব্রতর সঙ্গে এখনও তাঁর যোগাযোগ রয়েছে। সেদিক দিয়ে সুব্রতর মা অর্থাৎ মঞ্জুল ঘরণীকে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া যেতেই পারে। আর কৈলাশের বাজি মঞ্জুলকৃষ্ণের অপর পুত্র শান্তনু ঠাকুর। মুকুল ভাসিয়ে দিয়েছেন আর এক নাম। তিনি শঙ্কর ঠাকুর।
মোট কথা মতুয়া ভোট বিজেপির মূল টার্গেট। তা সে মমতাবালা হন বা মঞ্জুল-জায়া, কিংবা শান্তনু বা শঙ্কর- যে শ্রেষ্ঠ মুখ হবেন, তাঁকেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়িয়ে দিতে চাইছে বিজেপির থিঙ্কট্যাঙ্ক। কিন্তু গোপন অডিও ফাঁস হয়ে যাওয়ায় বিজেপির পরিকল্পনাও ব্যর্থ হতে পারে, তা মনে করছে গেরুয়া শিবির। তাই এখন থেকে বাড়তি সতর্কতায় ঠাকুর পরিবারের অন্দরের রাজনীতিকে কাজে লাগাতে মরিয়া তাঁরা।
(এই অডিও-র সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি ওয়ান ইন্ডিয়া বেঙ্গলির তরফে)