মুসলিম ভোট ‘পাখির চোখ’ বিজেপির, এনআরসি-কাঁটা সরাতে নয়া দাওয়াইয়ের খোঁজ নেতৃত্বের
বাংলা দখলে বিজেপি থাবা বসাতে চাইছে তৃণমূলের মুসলিম ভোট-ব্যাঙ্কে। সেই লক্ষ্যে বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চা কর্মী প্রশিক্ষণের আয়োজন করল কলকাতার মাহেশ্বরী সদনে।
বাংলা দখলে বিজেপি থাবা বসাতে চাইছে তৃণমূলের মুসলিম ভোট-ব্যাঙ্কে। সেই লক্ষ্যে বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চা কর্মী প্রশিক্ষণের আয়োজন করল কলকাতার মাহেশ্বরী সদনে। এই কর্মসূচি থেকে মুসলিম সম্প্রদায়ের মন জেতার দাওয়াই খোঁজা শুরু করল বিজেপি। কিন্তু সে পথে বারবার কাঁটা হয়ে উঠল অসমের এনআরসি ইস্যু।
সম্প্রতি অসমের এনআরসির পর বাংলাতেও অনআরসি করে বাংলার মুসলিমদের একটি অংশকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর বার্তা দিয়েছিল রাজ্য বিজেপি। বাংলার মুসলিম ভোটে ভাগ বসাতে গিয়ে তা তিরের মতো বিঁধছে বিজেপির। তারপর মোদী হাওয়ায় পাল তুলে এবারে ভোট বৈতরণী পার হওয়া যাবে না এবার। তাই কোমর বাঁধল বিজেপি।
বাংলায় হিন্দুত্বের জিগির তুলে ভোট একত্রিত করা সম্ভব নয়, তা এতদিনে বুঝে গিয়েছে বিজেপি। তাই নতুন পরিকল্পনা করছে মুসলিম সম্প্রদায়ের সঙ্গে দূরত্ব ঘুচিয়ে মুসলিম ভোটও বিজেপির বাক্সে আনতে। তা করতে গেলে কোন পথে হাঁটতে হবে, সেই নীতি নির্ধারণ করার জন্যই প্রশিক্ষণ শিবিরে ছিলেন অরবিন্দ মেনন থেকে দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায় থেকে অন্যান্য শীর্ষ নেতারা।
বাংলার দায়িত্বে আসা অরবিন্দ মেনন স্পষ্টতই জানান, সংখ্যালঘুদের প্রতি যে বিজেপির দায়বদ্ধতা রয়েছে, তা প্রতিটি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের মনে গেঁথে দিতে হবে। বিজেপি শাসিত রাজ্যে সংখ্যালঘুরা কতটা ভালো আছেন, তা জানাতে হবে মুসলিমদের। সেইসঙ্গে বোধাতে হবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শুধু মুসলিম তোষণ করে এসেছেন ভোটের জন্য। কোনও সংখ্যালঘু উন্নয়ন করেননি, তাই বিজেপিই শ্রেয় বোঝাতে হবে সংখ্যালঘুদের।