নবান্ন অভিযানে পুলিশি অত্যাচার! বিজেপির ২৫ পাতার রিপোর্টে অভিষেকের ‘গুলি’ মন্তব্যও
নবান্ন অভিযানে পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগ আনল বিজেপি। এই মর্মে বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি রিপোর্ট দিল সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে। শনিবার পেশ করা হয় ২৫ পাতার রিপোর্টে।
নবান্ন অভিযানে পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগ আনল বিজেপি। এই মর্মে বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি রিপোর্ট দিল সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে। শনিবার পেশ করা হয় ২৫ পাতার রিপোর্টে। সেই রিপোর্টে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্যের পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেয় বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটি। তারা পরিকল্পিত হিংসা চালানোর অভিযোগ তোলে পুলিশরে বিরুদ্ধে।
১৩ সেপ্টেম্বর বিজেপির নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল তৃণমূলের লাগামছাড়া দুর্নীতিতে চোর ধরো জেল ভরো স্লোগানে। সেই অভিযানে গুরুতর জখম হন বেশ কিছু বিজেপি কর্মী। মহিলা কর্মীদের উপরও পরিকল্পিতভাবে সন্ত্রাস চালানো হয়। তবে এই ঘটনায় পুলিশও গুরুতর জখম হন। কিন্তু তা না উল্লখ থাকলেও বিজেপির নবান্ন অভিযানের প্রতিক্রিয়া অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'গুলি' মন্তব্যের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়।
বিজেপির রিপোর্টে এই ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে। তার পাশাপাশি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের হস্তক্ষেপও দাবি করা হয়েছে। শনিবার জেপি নাড্ডার কাছে এই রিপোর্ট জমা দেয় বিজেপির কেন্দ্রীয় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। সেই রিপোর্টে বলা হয়, বিজেপির শান্তিপূর্ণ অভিযানে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে পুলিশ।
বিজেপির কাউন্সিলর মীনাদেবী পুরোহিত ও অন্যান্য অনেক কর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন। তার জন্য কাঠগড়ায় তোলা হয়ছে পুলিশকে। বিজেপি শান্তিপূর্ণভাবেই নবান্নের উদ্দেশ্যে মিছিল করছিল। কিন্তু পুলিশ অন্যায়ভাবে তাদের আটকেছে। রিপোর্টে বিজেপির কেন্দ্রীয় দল উল্লেখ করেছে, বাংলায় চরম অরাজকতা চলছে। এখানে আইনের শাসন নেই। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বলেছেন, তিনি পুলিশের জায়গায় থাকলে মাথায় গুলি করতেন। এতেই প্রমাণিত হয় পূর্ব পরিকল্পনা করেই পুলিশ হামলা চালিয়েছিল।
এই রিপোর্টে বিজেপির কেন্দ্রীয় দল কিছু প্রস্তাবও পেশ করেছেন। বিজেপি কর্মীদের উপর হিংসার ঘটনা খতিয়ে দেখতে অবিলম্বে রাজ্যে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার একটি দলকে বাংলায় পাঠানোর কথা জানিয়েছেন। গোটা ঘটনায় সিবিআই তদন্ত দাবি করেছেন। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন। পুরুষ পুলিশের দল মহিলা কর্মীদের উপর লাঠিচার্জ করেছে বলে অভিযোগ করে জাতীয় মাবনবাধিকার কমিশশনকে সুপারিশ করা হয়েছে।
বিজেপির কেন্দ্রীয় দল বা ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি তিন জন আইপিএ অফিসার, সিদ্ধিনাথ গুপ্ত, দময়ন্তী সেন, প্রবীণ কুমার ত্রিপাঠী নামও উল্লেখ করেছে। তাঁদের বিরুদ্ধে হিংসায় মদত জোগানোর অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগ তোলা হয়েছে পক্ষপাতিত্বের। বিজেপির কেন্দ্রীয় দল দাবি করেছে, বাংলায় জঙ্গলরাজ চলছে। তার প্রতিকার দরকার। সে কারণেই বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির কাছে রিপোর্টে তাঁরা বিশেষ কিছু প্রস্তাব দিয়েছেন।