সরকারের যাদবপুর-নীতির সমালোচনা! পার্থবাবু সকালে এককথা, বিকেলে এককথা বলেন, আর যা বললেন দিলীপ
যাদবপুরে ছাত্র ভর্তি নিয়ে সমস্যা তৈরি করেছে সরকার। তবে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান সম্ভব। এমনটাই প্রতিক্রিয়া জানালেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
যাদবপুরে ছাত্র ভর্তি নিয়ে সমস্যা তৈরি করেছে সরকার। তবে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান সম্ভব। এমনটাই প্রতিক্রিয়া জানালেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। কিছু লোককে তৃণমূল পয়সা করার সুযোগ করে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
পার্থ চট্টোপাধ্যায় সকালে, বিকেলে এবং পরের দিন, তিন সময়ে তিন ধরনের কথা বলেন। শিক্ষামন্ত্রী সম্পর্কে এমনটাই প্রতিক্রিয়া বিজেপি রাজ্য সভাপতির।
যাদবপুরের সমস্যার সমাধানে, সরকারের উচিত ছাত্র সংসদের সঙ্গে কথা বলা। এমন কী শিক্ষাবিদদের সঙ্গে কথা বলারও আর্জি জানিয়েছেন তিনি। সমস্যার সমাধানে উপাচার্যদের সঙ্গে কথা বলার পক্ষে দিলীপ ঘোষ।
কলা বিভাগে ভর্তি নিয়ে যাদবপুরে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। অনশনে বসেছেন কলা বিভাগের ছাত্রছাত্রীরা। ছাত্রছাত্রীদের দাবিকে অগ্রাহ্য করেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ভর্তির দিন ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার অ্যাডমিশন কমিটির বৈঠকের পর জানানো হয়, ২৭, ২৮, ৩০ ও ৩১ জুলাই ছাত্র ভর্তি করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়, ৭ জুলাই শুক্রবার থেকে নতুন করে ফর্ম দেওয়া শুরু হবে। ১২ জুলাই পর্যন্ত ফর্ম দেওয়ার কাজ চলবে।
বুধবার বিকেলে যাদবপুরে স্নাতক পর্যায়ে ভর্তি প্রবেশিকা প্রত্যাহারের কথা জানানো হয়। এরপর থেকেই উপাচার্য, সহ উপাচার্য এবং অন্য পদাধিকারীদের ঘিরে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন ছাত্রছাত্রীরা। তাদের অভিযোগ সরকারের চাপে পড়ে সিদ্ধান্ত বদল করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক বিভাগের অধ্যাপকরা জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা ভর্তি প্রক্রিয়ায় অংশ নেবেন না। উপাচার্যের মৌখিক এবং লিখিত ভাবে জানিয়েছেন তাঁরা। অধ্যাপকদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য ভেঙেছে কর্তৃপক্ষ। ভর্তি প্রক্রিয়ায় বহিরাগত অধ্যাপকদের ডাকা হচ্ছে। বিষয়টিতে তাঁরা সসম্মানিত এবং অপমানিত বোধ করছেন বলে জানিয়েছেন এইসব অধ্যাপকরা।