তৃণমূলের সঙ্গে জোটের রাস্তা ক্লিয়ার করতেই সভাপতি বদল! অধীরের হয়ে সাফাই দিলীপের
কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একযোগে কেন্দ্রের মোদী সরকার পতনের ডাক দিয়েছেন। অন্যদিকে অধীর চৌধুরীর বিজেপিতে যোগদান নিয়ে মাঝমধ্যেই জল্পনা চলছে।
কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একযোগে কেন্দ্রের মোদী সরকার পতনের ডাক দিয়েছেন। অন্যদিকে অধীর চৌধুরীর বিজেপিতে যোগদান নিয়ে মাঝমধ্যেই জল্পনা চলছে। এই অবস্থায় প্রদেশ কংগ্রেসে নেতৃত্ব বদলে প্রশ্ন উঠে পড়েছে লোকসভার আগে হঠাৎ কেন সরিয়ে দেওয়া হল অধীরকে। এই প্রশ্নের মুখে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ সাফাই গাইলেন অধীর চৌধুরীর হয়েই।
অধীর চৌধুরী প্রবল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধী বলেই রাজনৈতিক মহলে প্রচার রয়েছে। তারপর সম্প্রতি উভয়ের মধ্যে দূরত্ব আরও বেড়েছে মুর্শিদাবাদে কংগ্রেস ভাঙন ধরানোয়। অধীরের অভিযোগ, মিথ্যা মামলার ভয় দেখিয়ে আর প্রলোভন দেখিয়ে কংগ্রেসকে ভাঙা হচ্ছে পরিকল্পনা করে। এই অবস্থায় অধীর চৌধুরী যত কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন, বিজেপিও তাঁকে নিজেদের দলে ভেড়াতে বড়শিতে টোপ গেঁথে চলেছে বারবার।
অধীর এখনওসেই টোপে ধরা পড়েননি ঠিকই, তবে দিলীপ ঘোষের মন্তব্যে ফের একবার জল্পনা তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে তাঁর অপসারণ বাংলার রাজনীতিতে আবার বড়সড় পরিবর্তন আনতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। দিলীপ ঘোষের কথায়, রাহুল গান্ধী আগামী লোকসভা ভোটে জোটের দিকে চেয়েই অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে সোমেন মিত্রকে প্রদেশের দায়িত্ব দিয়েছেন।
[আরও পড়ুন: লোকসভার আগে বড়সড় রদবদল কংগ্রেসে, কে সরলেন-কে এলেন গুরুদায়িত্বে একনজরে ]
তিনি বলেন, কংগ্রেস চাইছে রাজ্যে তৃণমূলের সঙ্গে জোটের রাস্তা ক্লিয়ার করে রাখতে। তারই প্রথম পদক্ষেপ হল অধীরকে সরিয়ে সোমেন মিত্রকে দায়িত্ব দেওয়া। লোকসভার আগে রাজ্যে বড়সড় রদবদল ঘটিয়ে দিলেন সভাপতি রাহুল গান্ধী আসলে বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই। এরপর অধীর চৌধুরী এই অপসারণকে কীভাবে নেন, তা নিয়ে প্রশ্ন চিহ্ন রয়েই যায়।
[আরও পড়ুন: ২০ বছর পর প্রদেশ কংগ্রেসের শীর্ষপদে ফের মমতার ছোড়দা, অধীরকে নিয়েই চলার ডাক ]
বিজেপি রাজ্য সভাপতি অবশ্য অধীর চৌধুরীকে একপ্রকার বার্তা দিয়েই রাখলেন। এর আগে অধীর ঘনিষ্ঠ হুমায়ুন কবীরের বিজেপিতে যোগদানেও জল্পনা তৈরি হয়েছিল অধীরকে নিয়ে। রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা ছিল অধীর চৌধুরী হুমায়ুনকে পাঠিয়ে নিজের রাস্তা মসৃণ করে রাখলেন বিজেপিতে। যদিও অধীর চৌধুরী সেই সব সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছিলেন।
[আরও পড়ুন:'দয়া'র ঝটকা বাংলাকেও, ওড়িশা উপকূলমুখী ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে দিঘায় জলোচ্ছ্বাস, জারি সতর্কতা]