গোডাউনের নেতারা তৃণমূলে! বিজেপিতে কাদের যোগ তালিকা দিয়ে বোঝালেন দিলীপ
বিজেপির শক্তিবৃদ্ধিতে ভয় পেয়েছে তৃণমূল। তাই গোডাউনে থাকা নেতাদের যোগদান করানো হচ্ছে দলে। ভিড় বাড়াচ্ছে। কিন্তু বিজেপি অযথা ভোট বাড়ায় না। বললেন দিলীপ ঘোষ।
বিজেপির শক্তিবৃদ্ধিতে ভয় পেয়েছে তৃণমূল। তাই গোডাউনে থাকা নেতাদের যোগদান করানো হচ্ছে দলে। ভিড় বাড়াচ্ছে। কিন্তু বিজেপি অযথা ভোট বাড়ায় না। দিদি যেমন মাথার উপর বোঝা চাপাচ্ছেন, ওমন বোঝা বিজেপি চাপায় না। যাঁরা বিজেপির বোঝা নিতে পারবে তাঁদেরই দলে নেয় বিজেপি। দক্ষিণ দিনাজপুরের তপনের সভা থেকে হুঙ্কার ছাড়লেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, আমরা যাদের দলে নিচ্ছি, তাদের সঙ্গে লোক আছে। এই যেমন নীলাঞ্জনদা কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তাঁর সঙ্গে চার-পাঁচ হাজার সমর্থক যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। তিনি চ্যালেঞ্জ ছোড়েন, যে চারজন বিধায়ক কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে গিয়েছেন, তারা ২০০ জনকে নিয়ে একটা মিছিল করে দেখান নিজের নিজের এলাকায়।
একইভাবে মালদহের সমাজবাদী পার্টির প্রাক্তন জেলা সভাপতি মিলন দাস পাঁচ হাজার অনুগামী নিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন বলে দাবি দিলীপ ঘোষের। তেমনই মুর্শিদাবাদের রেজিনগরে ১৬ হাজার মুসলিম সদস্যকে নিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন হুমায়ুন কবীরও। ঝাঁকে ঝাঁকে মুসলমানরা বিজেপি আসছেন। গাজোলের সভায় সিপিএমের প্রাক্তন প্রধান কৃষ্ণা মুদিও যোগ দেন বিজেপিতে। আর এদিন আরএসপির ১০ হাজার সমর্থক বিজেপিতে যোগ দেন বলে দাবি করা হয় বিজেপির পক্ষে।
[আরও পড়ুন: দিদি বলছেন ৪২-এ ৪২, দিলীপ বলছেন ৩৪টি আসন পেলেই প্রধানমন্ত্রী হবেন মমতা]
দিলীপ ঘোষের কথায়, মুসলিম ভোট টানতে তাঁরা বিশেষ নকশা তৈরি করেছেন। তাঁরা চান সবার জন্য সমান অধিকার। এ প্রসঙ্গে তিনি গুজরাটের উদাগারণ তুলে ধরেন। বলেন, এ রাজ্যে মুসলনামদের শুধু ভোটার করে রাখা হচ্ছে। সেই কারণে তাদের জন্য আলাদা করে হাসপাতাল, স্কুল, কলেজ গড়ে তোলা হচ্ছে। বিজেপি মনে করে, হিন্দুদের যে অধিকার রয়েছে, মুসলমানদেরও সেই অধিকার রয়েছে। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারে প্রকল্প নিয়েও কটাক্ষ করেন তিনি।