রাজনৈতিকভাবে লোকসভায় লড়ুন, শুভেন্দুর বিরোধীশূন্য করার স্বপ্নকে চ্যালেঞ্জ দিলীপের
তৃণমূলের এই বিরোধীশূন্য রাজনীতির জন্য রাজ্যজুড়ে তুলকালাম অবস্থা চলছে বলে অভিযোগ করে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ শুভেন্দু অধিকারীকে চ্যালেঞ্জ ছোড়েন।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেও বিরোধীশূন্য করার বার্তা দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। পঞ্চায়েত ভোট মিটে যাওয়ার পরও তার মুখে সেই একই ভাষা। তৃণমূলের এই বিরোধীশূন্য রাজনীতির জন্য রাজ্যজুড়ে তুলকালাম অবস্থা চলছে বলে অভিযোগ করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এই প্রেক্ষিতেই শুভেন্দুকে চ্যালেঞ্জ ছোড়েন তিনি।
বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, শুভেন্দু অধিকারী যে কথা বলছেন, সেই রাজনীতি সভ্য সমাজে চলে না। এখন পুরুলিয়ায় হেরে গিয়ে খুনের রাজনীতি করছে তৃণমূল কংগ্রেস। তারপর মালদহে আবার হেরে যাওয়া আসনও দখল করে নেওয়ার কথা বলছে ফলাও করে, এসব কী রাজনীতি! তিনি বলেন, চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি, ক্ষমতা থাকলে রাজনৈতিকভাবে লড়ে বিরোধীশূন্য করে দেখান শুভেন্দু অধিকারী।
[আরও পড়ুন: নজরে লোকসভা নির্বাচন! এই মাসেই মমতার বাংলা সফরে অমিত শাহ]
পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর মালদহ জেলায় জয়ী প্রার্থীদের সম্মাননা সভায় গিয়ে জেলা পর্যবেক্ষক তথা পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী বিরোধীদের উদ্দেশ্য চরম বার্তা দেন। বলেন, মুর্শিদাবাদের কায়দায় মালদহ দখল করে নেবেন তাঁরা। শুধু ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের নেতারাই নন, জেলার প্রথম সারির সমস্ত নেতারাও তৃণমূলে যোগ দেবেন।
তিনি এদিন বলেন, নির্বাচনে তৃণমূল ইতিমধ্যেই পঞ্চায়েতের ৭০ শতাংশ আসন দখল করেছে। বাকি ৩০ শতাংশও দখলে নেবেন তাঁরা। কেউ থাকবে না বিরোধী আসনে। তৃণমূলের উন্নয়নের নৌকায় আসবেন সবাই। মমতাদির সঙ্গে আসতে চাইছেন এমন অনেক বিরোধী দলের নেতারা আমরা সঙ্গে যোগাযোগ করছেন।
এই পরিপ্রেক্ষিতে শুভেন্দুকে পাল্টা দিয়ে দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, দখলদারি মানসিকতা নিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকা যায় না। সময় এলেই মানুষ ছুড়ে ফেলে দেবে। ভোটের পরও সব দখল করে নেব এই মানসিকতা থেকে সরতে পারছেন না শুভেন্দু অধিকারীরা। এর পরিণতি হবে সাংঘাতিক।
[আরও পড়ুন:শুভেন্দু তৃণমূল নাকি কাজ করছেন অমিত শাহের হয়ে! সংশয়ে তাল ঠুকলেন সেলিম]
তিনি বলেন, লোকসভা ভোটেই তৃণমূল বুঝতে পারবে, কত ধানে কত চাল। উল্লেখ্য, শুভেন্দু এদিন বলেছিলেন, মালদহের দুটি লোকসভা আসনই তাঁরা দখল করবেন এবং ৫৫ শতাংশেরও বেশি ভোট পাবেন। দ্বিতীয় কে হবেন, তা স্থির করে নেবে কংগ্রেস, বিজেপি, সিপিএম।