লালবাজার অভিযানে জয় দেখছে বিজেপি! অগ্নিগর্ভ কলকাতায় মিলল আন্দোলনের রসদ
বিজেপির লালবাজার অভিযানকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠল ফিয়ার্স লেন। বিজেপি কর্মীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করতেই পুলিশ আর দেরি করল না জল কামান প্রয়োগ করতে।
বিজেপির লালবাজার অভিযানকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠল ফিয়ার্স লেন। বিজেপি কর্মীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করতেই পুলিশ আর দেরি করল না জল কামান প্রয়োগ করতে। ফাটানো হল কাঁদানে গ্যাসের সেলও। তাতেই নৈতিক জয় দেখছে বিজেপি। রাহুল সিনহা এই জয়ের ঘোষণা করলেই জয় শ্রীরাম ধ্বনিতে ফেটে পড়ল এলাকা।
জল কামান, টিয়ার গ্যাসেও পিছু হটল না
বিজেপির নেতা-কর্মীরা তখন রাস্তায় বসে বিক্ষোভ শুরু করেছেন। গোটা সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ অবরুদ্ধ। জল কামান, টিয়ার গ্যাস সত্ত্বেও আন্দোলনকারীরা পিছু হটল না। বিজেপির এই মাটি কামড়ে পড়ে থাকা আন্দোলন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনের কাছে চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিল আবার।
বিনা প্ররোচনাতেই কাজ হাসিল
রাহুল সিনহার কথায়, এমন আন্দোলন আমরা আগে দেখিনি। বিনা প্ররোচনাতেই পুলিশ জল কমান প্রয়োগ করল, টিয়ার গ্যাসের সেল ফাটাল। বিজেপির এই আন্দোলন প্রমাণ করল মানুষ আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা ময়দানে নামতেই পুলিশ ভয় পেয়েছে। তাই আগবাড়িয়ে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটাচ্ছে পুলিশ, জল কামান চালাচ্ছে।
তৃণমূল সরকারের উপর ‘অনাস্থা’!
বিজেপি নেতৃত্বের কথায়, রাজ্য আজ অশান্ত। শান্তি ফেরানোর ক্ষমতা হারিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর সুশাসন আনতে পারবেন না। বিজেপি বাড়ছে, তা প্রমাণ করেছে লোকসভা। মানুষ তৃণমূল সরকারের উপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। ভোটের পর থেকেই তৃণমূল ভাঙচে শুরু করেছে। হারের জ্বালা মেটাতে তৃণমূল বিভিন্ন জায়গায় ঝামেলা বাধাচ্ছে।
ন্যাজাট-কাণ্ডে প্রতীকী অভিযান
সেই কারণেই ন্যাজাটে ঘটে গিয়েছে ঘৃণ্য রাজনৈতিক খুনোখুনি। অন্যান্য জায়গাতেও হিংসা ছড়াচ্ছে। ন্যাজাটে তৃণমূল যে ঘটনা ঘটিয়েছে, তার প্রতিবাদেই প্রতীকী লালবাজার অভিযান ছিল এদিন। এই অভিযান রুখতে গিয়ে মমতার প্রশাসন যে ভূমিকা নিল, তাতে প্রশাসনের দৈনতাই প্রকট করল। বাংলার গণতন্ত্রকে বিপন্ন করে ছাড়ল।
যেমন চাওয়া, তেমন কাজ
বিজেপি চাইছিল, পুলিশ লাঠিচার্জ করুক, টিয়ার গ্যাসের সেল ফাটাক কিংবা জল কমান প্রয়োগ করুক। লাঠিচার্জ বা করলেও শেষোক্ত দুই হাতিয়ার প্রয়োগ করেছে পুলিশ। তাতেই নয়া আন্দোলনের রসদ পেয়েছে বলে মনে করছে বিজেপি। বিজেপি এবার রাজ্য প্রশাসনের এই ভূমিকা নিয়েই সরব হবেন। মমতার সরকারকে চাপে ফেলার চেষ্টা করবেন।
[আরও পড়ুন:অর্ধেক রাস্তা যেতেই পুলিশের জলকামানে ছত্রভঙ্গ বিজেপি, তবু অভিযান সফল বলে দাবি দিলীপদের]