প্রশিক্ষণ শিবির দিয়ে রাজ্যে অভিষেক নতুন 'হেডস্যারের'! বিজেপির চিন্তা শৃঙ্খলা নিয়ে
এই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে তাঁকে পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) পর্যবেক্ষক (Observer) করা হয়েছিল। ওড়িশা ও তেলেঙ্গানার সঙ্গে তাঁকে বঙ্গের দায়িত্বও দেয় বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। দায়িত্ব নেওয়ার পরে প্রথমবার কলকাতায় আসছেন ব
এই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে তাঁকে পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) পর্যবেক্ষক (Observer) করা হয়েছিল। ওড়িশা ও তেলেঙ্গানার সঙ্গে তাঁকে বঙ্গের দায়িত্বও দেয় বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। দায়িত্ব নেওয়ার পরে প্রথমবার কলকাতায় আসছেন বিজেপির অন্যতম জাতীয় সাধারণ সম্পাদক সুনীল বনসল (Sunil Bansal)।
উত্তর প্রদেশের জয়ের কারিগর
উত্তর প্রদেশে জয়ের কারিগর হিসেবে পরিচিত সুনীল বনসল। তাঁর সঙ্গেই সোমবার আনুষ্ঠানিক পরিচিতি হবে বাংলার বিজেপি নেতাদের। সাধারণভাবে নির্বাচনী কৌশলবিদ হিসেবেই পরিচিতি সুনীল বনসলের। ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি উত্তর প্রদেশের ৮০ টির মধ্যে ৭৩ টি আসন দখল করে। সেই নির্বাচনে জিতে নরেন্দ্র মোদী প্রথমবারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হন। সেই নির্বাচনে উত্তর প্রদেশে সহকারীর ভূমিকায় ছিলেন বনসল। এরপর ২০১৭ ও ২০২২-এর বিধানসভা নির্বাচন এবং ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনেও উত্তর প্রদেশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন বনসল।
শৃঙ্খলা মানবেন তো সবাই
সোমবার থেকে টানা তিনদিন বৈদিক ভিলেজে চলবে প্রশিক্ষণ শিবির। তবে সেই শিবিরের নেতারা টানা তিন দিন থাকবেন কিনা যা নিয়ে প্রশ্ন চিহ্ন রয়েছে গেরুয়া শিবিরে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিজেপি নেতা বলেছেন, রাজ্যের দায়িত্ব পাওয়ার পরে প্রথমবার আসছেন সুনীল বনসল। অংশ নেবেন প্রশিক্ষণ শিবিরে। ফলে সেই শিবিরে যদি হাজিরা ও শৃঙ্খলা না থাকে তাহলে বিপাকে পড়বে রাজ্য নেতৃত্বই। সেই কারণে প্রশিক্ষণ শিবিরের যেসব বিজেপি নেতাদের যোগ দেওয়ার কথা, তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। যদি কেউ সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন, সে ব্যাপারেও জানান চেষ্টা চলছে। ইতি মধ্যেই বেশ কয়েকজন বিভিন্ন অসুবিধার কারণে শিবিরে থাকতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন বলে সূত্রের খবর।
কেন্দ্রীয় নেতার উপস্থিতিতে বিশৃঙ্খলা
শনিবার কলকাতায় এসেছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর। তিনি হো চি মিনচ সরণির আইসিসিআর-এ বিজেপির এক কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন। প্রকাশ জাভড়েকর যখন অনুষ্ঠান কক্ষে, সেই সময় বাইরে বিজেপির দুই গোষ্ঠীর মধ্যে হাতাহাতি শুধু হয়ে গিয়েছিল। এক গোষ্ঠীর নেতারা অপর গোষ্ঠীকে চোর, দালাল, তোলাবাজ বলেও আক্রমণ করে। যা নিয়ে বেশ অস্বস্তি পড়ে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব।
প্রশিক্ষণে যাঁরা থাকবেন
বিজেপির তিন দিনের প্রশিক্ষণ শিবিরে সুনীল বনসল ছাড়াও থাকার কথা রয়েছে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বিএস সন্তোষের। রাজ্য থেকে বিজেপির সাংসদ, বিধায়করা ছাড়াও রাজ্য নেতারাও এই শিবিরে থাকবেন। জেলা সভাপতি ও ইনচার্জদেরও এই শিবিরে আসতে বলা হয়েছে। সুনীল বনসল, বিএল সন্তোষ ছাড়াও শিবিরে ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদার এবং শুভেন্দু অধিকারীর।
বাংলার মানুষ মদন মিত্রের নাম মনে রাখবে! শুধুই কুশল বিনিময়, তৃণমূল নেতার মিডিয়া 'বয়কট' নিয়ে জল্পনা