তৃণমূলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি নিয়ে মুকুলের নিশানায় মমতা! তুললেন লন্ডন, সুইরজারল্যান্ডের কথা
দিন কয়েক আগে মুকুল রায় বলেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে পদত্যাগ করুন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাহলে বাংলার মানুষ বাঁচে বলেও কটাক্ষ করেছিলেন তিনি।
দিন কয়েক আগে মুকুল রায় বলেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে পদত্যাগ করুন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাহলে বাংলার মানুষ বাঁচে বলেও কটাক্ষ করেছিলেন তিনি। এবার তৃণমূলের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি নিয়ে আক্রমণ করলেন এই বিজেপি নেতা। পাশাপাশি মুকুল রায়ের মুখে উঠে এল লন্ডন এবং সুইৎজারল্যান্ডের কথাও।
সব্যসাচীর 'সৌজন্য'
বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচী দত্ত শৃঙ্খলাভঙ্গ করেছেন কিনা সেই প্রশ্নে জেরবার তৃণমূল। মুকুল রায়কে বাড়িতে আমন্ত্রণ এবং বৈঠক নিয়ে সব্যসাচী দত্ত পুজোয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধানমন্ত্রীর প্রতি সৌজন্যের কথা উল্লেখ করেছেন। প্রসঙ্গত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রায় প্রতিবছরেই নিয়ম করে মিষ্টি এবং পুজোর পোশাক পাঠিয়ে থাকেন।
সব্যসাচীকে নিয়ে 'সিদ্ধান্ত'
সব্যসাচী দত্তকে নিয়ে জেরবার তৃণমূল নেতৃত্ব। রবিবার দুপুরে তৃণমূল ভবনে বিধাননগরের কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন ফিরহাদ হাকিম এবং সুজিত বসু। এরই মধ্যে মুকুল রায় মন্তব্য করেন সব্যসাচী দত্তের জন্য গত লোকসভা নির্বাচনে লাভবান হয়েছে বিজেপি। যাতে মুখে কিছু সেরকম না বলতে পারলেও তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব প্রায় ঠিকই করে ফেলেছেন সব্যসাচী দত্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রবিবারের বৈঠক শেষে ফিরহাদ হাকিম বলেন, কাউন্সিলরদের সিদ্ধাব্তের কথা তিনি দলনেত্রীকে তিনি জানাবেন। আর সব্যসাচী দত্তের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি।
মুকুল রায়ের কটাক্ষ
রাতে
সব্যসাচী
দত্তের
সঙ্গে
বৈঠকের
পর
এই
বিষয়টি
নিয়েই
কটাক্ষ
করেন
মুকুল
রায়।
তিনি
বলেন,
তৃণমূলের
শৃঙ্খলারক্ষা
কমিটি
খায়
না
মাথায়
দেয়।
কেননা
সেখানে
কী
হয়,
তার(মুকুল
রায়)
থেকে
ভাল
কেউ
জানেন
না।
এরপরেই
মুকুল
রায়ের
মুখে
উঠে
আসে
তৃণমূল
নেতৃত্ব
নিয়ে
তির্যক
মন্তব্য।
তিনি
সাংবাদিকদের
বলেন,
এখন
যিনি
তৃণমূল
চালাচ্ছেন,
তিনি
লন্ডনে
রয়েছেন
না
সুইৎজারল্যান্ডে,
তা
খোঁজ
নিয়ে
দেখুন।
প্রসঙ্গত
তৃণমূলের
সুপ্রিমো
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়।
সভাপতি
সুব্রত
বক্সি।
আর
মহাসচিব
পার্থ
চট্টোপাধ্যায়।
এর
মধ্যে
মুকুল
রায়ের
নিশানা
যে
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়ই
তা
আর
বলার
অপেক্ষা
রাখে
না।
কেননা
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়
একটা
সময়
কলকাতাকে
লন্ডন
এবং
দার্জিলিংকে
সুইৎজারল্যান্ড
বানানোর
কথা
বলেছিলেন।