এবার বঙ্গ 'রাজনীতি'তে আডবাণী! 'কলঙ্ক' দূর করতে মোদীর দলে একাধিক পরিবর্তনের সম্ভাবনা
রাজ্য বিজেপিতে একাধিক পরিবর্তনের সম্ভাবনা। সূত্রের খবর অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই কলকাতায় বৈঠক করে গিয়েছেন সভাপতি অমিত শাহ এবং আরএসএস প্রধান মোহন ভগবতের ঘনিষ্ঠ দুই নেতা।
রাজ্য বিজেপিতে একাধিক পরিবর্তনের সম্ভাবনা। সূত্রের খবর অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই কলকাতায় বৈঠক করে গিয়েছেন সভাপতি অমিত শাহ এবং আরএসএস প্রধান মোহন ভগবতের ঘনিষ্ঠ দুই নেতা। সাম্প্রতিক রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে তাঁরা খোঁজখবর করেছেন বলে জানা গিয়েছে। দিল্লিতে গিয়ে তাঁরা রিপোর্টও জমা দিয়েছেন বলে সূত্রের খবর।
পুজোর আগেই রাজ্য বিজেপিতে বড়সড় পরিব্রতনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। একদিকে যেমন এলপিজি সংযোগ নিয়ে কেলেঙ্কারির অভিযোগে রাজ্য পর্যায়ের একাধিক নেতা অভিযুক্ত হয়েছেন, অন্যদিকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিজেপির নেত্রীর সঙ্গে সহবাসে অভিযুক্ত হয়েছেন আরএসএস-এর এক বর্ষীয়ান নেতা।
২০১৯-এর নির্বাচনে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যেখানে পশ্চিমবঙ্গকে পাখির চোখ করছে, ঠিক সেই সময়ে এই দুই অভিযোগ বিজেপিকে বিড়ম্বনায় ফেলেছে। বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের তরফে রাজনৈতিক এবং আইনগতভাবে মোকাবিলার কথা জানিয়েছিল। কিন্তু বিষয়গুলি জনমানসে কতটা প্রভাব ফেলেছে তাই খতিয়ে দেখে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সূত্রের খবর অনুযায়ী, সেইসব বিষয়েই খোঁজখবর করতে কলকাতায় এসেছিলেন অমিত শাহ এবং মোহন ভগবতের ঘনিষ্ঠ দুই নেতা।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, ওই দুই নেতা বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে যে রিপোর্ট জমা দিয়েছেন, তাতে নাকি বিজেপির ভাবমূর্তি ধাক্কা খাওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন। এই মুহূর্তে ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল করতে লালকৃষ্ণ আডবাণীর উদাহরণ সামনে আনার কথা বলছেন কেউ কেউ। ১৯৯৬ সালে সিবিআই হাওয়ালা মামলায় আডবাণীকে অভিযুক্ত করে। আডবাণী কালক্ষেপ না করে সাংসদ পদে ইস্তফা দিয়েছিলেন। আডবাণী যেমন সরে দাঁড়িয়েছিলেন, সেরকমই অভিযুক্ত নেতারা সরে দাঁড়িয়ে নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ করুন, এমনটাই বলা হচ্ছে। যদি বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এই পদ্ধতি অনুসরণ করে তাহলে, অনেক নেতাকেই আপাতত প্রচারের আলো থেকে সরে যেতে হতে পারে। তবে সব বিষয়েই যে আরএসএস-এর একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।