২০১৮-র নির্বাচনে বঙ্গে উত্থান বিজেপির, তবে ফারাক বাড়িয়েছে তৃণমূল, একনজরে
বাংলায় দ্বিতীয়বার সরকারে বসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সামনে ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচন। এরই মধ্যে রাজ্য রাজনীতিতে তৃণমূলের চ্যালেঞ্জার হিসেবে উঠে এসেছে বিজেপি।
বাংলায় দ্বিতীয়বার সরকারে বসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সামনে ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচন। এরই মধ্যে রাজ্য রাজনীতিতে তৃণমূলের চ্যালেঞ্জার হিসেবে উঠে এসেছে বিজেপি। সিপিএম-কংগ্রেসকে সরিয়ে রাজ্যের দ্বিতীয় শক্তি এখন গেরুয়া শিবির। অন্তত পঞ্চায়েত ভোট সেই দিক নির্ণয় করে দিয়েছে। দিক নির্ণয় করে দিয়েছেন উপনির্বাচনগুলি।
প্রথমের সঙ্গে ফারাক বিস্তর দ্বিতীয়ের
এই নিরিখে ২০১৮-য় বাংলায় সংঘটিত নির্বাচনগুলি কী দিকনির্ণয় করল, ফিরে দেখা একনজরে। এবছর রাজ্যে তিনটি কেন্দ্রে উপনির্বাচন হয়েছে। হয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। চার নির্বাচনের ফলে একথা স্পষ্ট হয়েছে যে, প্রথমের সঙ্গে ফারাক বিস্তর দ্বিতীয়ের। তবে পরিবর্তনের বার্তা দিতে কম করছে না রাজ্যে দ্বিতীয় শক্তি বিজেপি।
উলুবেড়িয়া লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন
তৃণমূল সাংসদ সুলতান আহমেদের অকাল প্রয়াণে উলুবেড়িয়া লোকসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হয়। এই উপনির্বাচন সম্মুখ সমরে অবতীর্ণ হয় তৃণমূল বনাম বিজেপি। যদিও মনে করা হচ্ছিল সংখ্যালঘু অধ্যুষিত উলুবেড়িয়ায় বিশেষ দাঁত ফোটাতে পারবে না বিজেপি। দ্বিতীয় স্থানে থাকবে বামেরাই। কিন্তু আদতে দেখা যায় বিজেপিই দ্বিতীয় স্থানে। তবে তৃণমূল ভোট বাড়িয়ে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। সুলতান ঘরণী তৃণমূলের টিকিটে ৪ লাখ ৭৪ হাজার ভোটে জয়ী হন। সাজদা আহমেদের প্রাপ্ত ভোট ৭,৬৭,২১৯। বিজেপির অনুপম মল্লিক পান ২,৯৩,০১৮ ভোট, সিপিএমের সাবিরুদ্দিন মোল্লার প্রাপ্ত ভোট ১,৩৮,৭৯২, কংগ্রেসের এম হোসেন ওয়ারসি পান মাত্র ২৩,১০৮ ভোট।
নোয়াপাড়া বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন
মধুসূদন ঘোষের মৃত্যুতে নোয়াপাড়া বিধানসভা আসনটি খালি ছিল। ২০১৮ সালের উপনির্বাচনেতৃণমূল কংগ্রেসেরপ্রার্থী সুনীল সিং ৬৩,০১৮ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হন। সুনীল সিংয়ের প্রাপ্ত ভোট ১,০১,৭২৯। মুকুল-গড়ে এই ভোট-প্রাপ্তি রেকর্ড। তিনি তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীবিজেপিপ্রার্থী সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরাজিত করেন। বিজেপি প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট ৩৮,৭১১। তৃতীয় হন সিপিএম প্র্রার্থী গার্গী চট্টোপাধ্যায়। তাঁর প্রাপ্তি ৩৫,৪৯৭ ভোট। এই কেন্দ্রটি ছিল কংগ্রেসের দখলে। অথচ কংগ্রেসের প্রার্থী গৌতম বসু এখানে মাত্র ১০,৫২৭ ভোট পান।
[আরও পড়ুন:দেশের সেরা মুখ্যমন্ত্রীর শিরোপা উঠল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাথায় ]
মহেশতলা বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন
২০১৬ সালে মহেশতলা বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের কস্তুরী দাস জয়ী হয়েছিলেন। তিনি সিপিএমেরশমীক লাহিড়িকেপরাজিত করে বিধায়ক হয়েছিলেন। তাঁর প্রয়াণে আসনটি ফাঁকা হয়। উপনির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী হন কস্তুরীদেবীর স্বামী দুলাল দাস। তিনি বিজেপি প্রার্থীকে ৬২,৭৬৫ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন। তৃণমূল পায় ১,০৪,৮১৮ ভোট, বিজেপির প্রাপ্তি, ৪২,০৫৩টি ভোট। আর বাম-কংগ্রেস জোট পায় ৩০,৩৪৮ ভোট। বিজেপি নিজেদের ভোট তিনগুণ বাড়াতে সক্ষম হলেও মহেশতলায় তৃণমূল রেকর্ড ভোটে জয় পায়।
[আরও পডুন:রাহুল অন্ধকারে, লোকসভায় জোট পাকা করে ফেলল বুয়া-ভাতিজা! কোন সূত্রে রফা]
পঞ্চায়েত নির্বাচন
এবারে
পঞ্চায়েত
নির্বাচনের
দিনক্ষণ
ঘোষণা
থেকেই
বিতর্ক
জারি
ছিল।
এমনকী
ভোটের
ফলাফল
প্রকাশের
পরও
বিতর্ক
পিছু
ছাড়েনি।
শেষপর্যন্ত
পঞ্চায়েতের
চূড়ান্ত
মামলাতেও
বড়
জয়
পেল
তৃণমূল
কংগ্রেস।
আক্ষরিক
অর্থেই
বিজেপির
শোচনীয়
পরাজয়
ঘটল।
পরাজয়
ঘটল
বিরোধীদের।
পঞ্চায়েত
ভোটে
৬৬
শতাংশ
আসনের
লড়াইয়ে
বিপুল
জয়
পেয়েছিল
তৃণমূল।
৩৪
শতাংশ
আসনে
বিনা
প্রতিদ্বন্দ্বিতায়
জয়
নিয়ে
আইনি
লড়াইয়েও
তৃণমূলের
জয়জয়কার
হল।
সুপ্রিম
কোর্টেও
নির্দেশেও
জয়ের
স্বীকৃতি
পান
তৃণমূল
প্রার্থীরা।
শুক্রবার
সুপ্রিম
কোর্টের
রায়ের
পর
২০১৫৯
আসলে
জয়ী
বলেই
মান্যতা
পান
তৃণমূলের
বিনা
প্রতিদ্বন্দ্বিতায়
জয়ী
প্রার্থীরা।
নির্বাচনের
পর
জেলা
পরিষদের
যে
ফল
বেরিয়েছে
তাতে
৫৮৯টি
আসনেই
জয়
পেয়েছে
তৃণমূল।
২৩টি
আসনে
জয়
পেয়েছে
বিজেপি।
৬টি
আসনে
কংগ্রেস,
২টি
আসনে
নির্দল
এবং
১টি
আসন
বামেদের
দখলে
গিয়েছে।
১৪
মে
পঞ্চায়েত
নির্বাচনে
যতগুলি
জেলা
পরিষদ
আসনে
ভোটগ্রহণ
হয়
তারমধ্যে
৯৪
শতাংশ
আসনেই
জয়
পায়
তৃণমূল।
[আরও পড়ুন:মধ্যরাত থেকে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হতে চলেছে দেশের সীমান্তবর্তী এই রাজ্যে]