নেতৃত্বকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে ফের রাস্তায় বিজেপি, ঘেরাও বউবাজার থানা
প্রতিবাদের ঝড় ফের আছড়ে পড়ল রাস্তায়। কলকাতা থেকে জেলা, বিজেপি নেতা-কর্মীদের বিক্ষোভ মিছিলে অবরুদ্ধ রাস্তায় আটকে ভোগান্তি সাধারণ মানুষের।
লালবাজার অভিযানে পুলিশি জুলুমবাজির প্রতিবাদে বউবাজার থানা ঘেরাও করল বিজেপি। থানায় ঢোকার আগেই ব্যারিকেড করে বিজেপি-র মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। এরপরই রাস্তায় বসে বিক্ষোভ অবস্থান চালাতে থাকেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা। শুক্রবার ফের এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এদিন হাওড়া ব্রিজও অবরোধ করা হয়। বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। নাকাল হন যাত্রী সাধারণ। বিজেপি কর্মীদের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে উত্তাল হয়ে ওঠে শিলিগুড়ি, পুরুলিয়া ও চঁচুড়াও।
লালবাজার অভিযানে বিজেপির শীর্ষনেতৃত্ব-সহ ১৩৪ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে ১৪ জনের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করা হয়। এদিনই বিজেপি নেতা-কর্মীদের ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয়। সাতজনের জামিনের আর্জি খারিজ করে দিয়েছে আদালত। তাদের ২৯ মে পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাকি সাতজনকে জামিন দেওয়া হয়। জামিন পান কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, দিলীপ ঘোষ-সহ বিজেপির শীর্ষনেতা-নেত্রীরাও।
এদিকে এদিন সকালেই লালবাজারে পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিজেপি-র কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। তিনি পুলিশ জুলুমবাজির প্রতিবাদ করেন। বোমাবাজিতে যে বিজেপি কর্মীরা জড়িত নন, তা দাবি করেন। বহিরাগতরাই বোমা ছুড়েছিল বলে তাঁর যুক্তি। এদিন বিজেপি নেতা-কর্মীদের গ্রেফতারির প্রতিবাদে বউবাজার থানা ঘেরাওয়ের ডাক দেওয়া হয়।
সেইমতো বিজেপি নেতা-কর্মীরা রাজ্য পার্টি অফিসে জমায়েত হয়ে মিছিল করে বউবাজার থানা পর্যন্ত আসেন। তার আগেই ব্যারিকে় করে বাধা দেয় পুলিশ। এদিন অবশ্য শান্তিপূর্ণ পথই নিয়েছে বিজেপি। ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টায় না গিয়ে রাস্তায় বসে পড়ে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন।
তবে শিলিগুড়িতে এদিন বিজেপির বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা বাধে। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বেধে যায়। বিশাল পুলিশ বাহিনী, কমব্যাট ফোর্স ও র্যাফ নামিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। হাওড়া, হুগলি, পুরুলিয়া-সব বিভিন্ন এলাকা থেকেও অবরোধ-বিক্ষোভ কর্মসূচির খবর আসে। ১০ মিনিট অবরোধ করে রাখা হয় হাওড়া ব্রিজ। তারপর মিছিল করে হাওড়া ময়দানের দিকে যান বিজেপি নেতা-কর্মীরা।