দিলীপ, মুকুল এখন অতীত! রাজ্য বিজেপিকে দিশা দিচ্ছেন অমিত শাহের কাছের এই লোক
দিলীপ, মুকুল এখন অতীত! রাজ্য বিজেপিকে দিশা দিচ্ছেন অমিত শাহের কাছের লোক
পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে গুরুত্ব বেড়েছে রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্তের। বিজেপি সূত্রের খবর এমনটাই। অমিত শাহ নিজেই চাইছেন, রাজ্যের জন্য আরও বেশি করে সময় দিন স্বপন দাশগুপ্ত। অন্যদিকে, রাজনৈতিক মহলের একটা অংশ বলছেন, এই মুহুর্তে দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায় নন, স্বপন দাশগুপ্তের চোখ দিয়েই বাংলাকে দেখছেন নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহেরা।
দিল্লির বদলে বাংলাতেই বেশি সময়
সাংসদ হওয়ার আগে হোক কিংবা পরে, একটা সময়ে দিল্লিতেই অধিকাংশ সময় কাটত রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্তের । কিন্তু লোকসভা ভোটের আগে থেকেই তিনি বাংলার জন্য বেশি সময় দিচ্ছেন। অনেক সভা সমিতিই থাকছএন একেবারে সামনের সারিতে।
বেধে দিচ্ছেন নেতার বিবৃতির সুর
সূত্রের খবর অনুযায়ী, অনেক ক্ষেত্রেই রাজ্য বিজেপি নেতাদের বিবৃতির সুর বেধে দিচ্ছেন স্বপন দাশগুপ্তই। হালের দুই বিষয় এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য। সেই দুটি বিষয় হল ৩৭০ ধারা বিলোপ এবং এনআরসি ইস্যু। কেননা একটা সময় প্রতিদিনই এনআরসি নিয়ে রাজ্য বিজেপি নেতাদের মুখ থেকে নানা রকমের কথা শোনা যাচ্ছিল অস্বস্তিতে পড়ে যাচ্ছিল কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
এনআরসি আর নাগরিকত্ব বিল নিয়ে আলোচনা সভা
পুজোর পথ থেকে বিভিন্ন জায়গায় এনআরসি আর নাগরিকত্ব বিল নিয়ে আলোচনা সভা করতে নেমে পড়েছেন স্বপন দাশগুপ্ত। সঙ্গে রয়েছেন শ্যামাপ্রসাদ রিসার্চ ফাউন্ডেশনেরর অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়কে। বিধানসভা ধরে ধরে বিশিষ্টজনেদের কাছে নাগরিকত্ব বিল নিয়ে জনমত তৈরির চেষ্টা করছেন তাঁরা।
পছন্দ নয় অনেকের
নেতাদের বিবৃতির সুর বেধে দেওয়ার বিষয়টি মেনে নিতে পারছেন না অনেকেই। কিন্তু তিনি তো আবার অমিত শাহের কাছের লোক। ফলে মেনে নিতে হচ্ছে স্বপন দাশগুপ্তের কথা। পছন্দ না হলেও বিরুদ্ধাচরণের সাহস দেখা পারছেন না কেউই।
প্রোটোকল ভেঙে অমিত শাহের গাড়িতে
এর আগে অমিত শাহ যেদিন কলকাতায় এসেছিলেন সেদিন বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন স্বপন দাশগুপ্তও। বিমানবন্দর থেকে অমিত শাহের গাড়িতে যাওয়ার তালিকায় ছিলেন দিলীপ ঘোষ এবং কৈলাস বিজয়বর্গীয়। কিন্তু অমিত শাহই ডেকে নেন স্বপন দাশগুপ্তকে।
বুদ্ধিজীবী মুখ স্বপন দাশগুপ্ত
বাংলার মানুষ বুদ্ধিজীবী পছন্দ করেন। তাই বুদ্ধিজীবী মুখ হিসেবে স্বপন দাশগুপ্তকে সামনে রাখা হচ্ছে। মত রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের। এছাড়া স্বপন দাশগুপ্ত কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পছন্দেরও বটে।
|
নজর কেড়েছে অযোধ্যা নিয়ে টুইট
নয় নভেম্বর অযোধ্যা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায় প্রকাশিত হয়। আর ১০ নভেম্বর অযোধ্যা নিয়ে টুইট সকলের মজর কেড়েছে। যেখানে তিনি দুটি পরামর্শ দিয়েছে। অযোধ্যা নিয়ে বৃহত্তম পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সেখানে একটি হাসপাতাল তৈরি কথা বলেছেন তিনি। অন্যদিকে পুরো পরিকল্পনাটাই সাধারণ মানুষের দানের টাকায় করার প্রস্তাবও তিনি দিয়েছেন।