তৃণমূলকে উৎখাত-বার্তায় বাংলায় বিজেপির ‘বিজয় রথ’ ছোটানোর ডাক অমিত শাহের
মমতা বিরোধিতার আওয়াজ তুলে বাংলা থেকে তৃণমূলকে উৎখাতের ডাক দিলেন অমিত শাহ। তিনি আওয়াজ তুললেন, যতদিন না বাংলা থেকে তৃণমূলকে উৎখাত করা হচ্ছে, ততদিন বিজেপির বিজয়রথ থামবে না।
ধর্মতলায় মঞ্চ থেকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা বাংলা বিরোধী নন, তাঁরা মমতা বিরোধী। মমতা বিরোধিতার এই আওয়াজ তুলে এদিন বাংলা থেকে তৃণমূলকে উৎখাতের ডাক দিলেন অমিত শাহ। তিনি আওয়াজ তুললেন, যতদিন না বাংলা থেকে তৃণমূলকে উৎখাত করা হচ্ছে, ততদিন বিজেপির বিজয়রথ থামবে না।
শনিবার ধর্মতলার মেয়োরোডের মঞ্চ থেকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি বলেন, একবার নরেন্দ্র মোদীকে সুযোগ দিন। তবেই বাংলায় দুর্নীতি দূর হবে, বাংলা এগিয়ে যাওয়ার পথ পাবে। তার কারণ বিজেপির কাছে আগে দেশ, তারপর ভোট। বিজেপি ভোটের রাজনীতি করে না, সবার আগে দেশের সুরক্ষা দেখে। সেই কারণেই এনআরসি করার মতো বুকের পাটা দেখাতে পারে।
এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এনআরসির পক্ষে আওয়াজ তুলেছিলেন সংসদে। এখন ভোটের স্বার্থে তিনি পাল্টি খেয়েছেন। রাজীব গান্ধী এনআরসি-র জন্য পদক্ষেপ নিয়েছিলেন, কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী এখন এনআরসির বিরোধিতা করছেন। কিন্তু যতই বিরোধিতা করা হোক এনআরসি হবেই।
এই প্রসঙ্গেই তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, বিজেপি অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে কিন্তু শরণার্থীদের পক্ষে। শরণার্থীদের জন্য নাগরিকত্ব বিল আনা হবে বলে তিনি এদিনের মঞ্চ থেকে স্পষ্ট করেন। অমিত শাহের কথায়, তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্ক হল অনুপ্রবেশকারীরা। সেই কারণেই অনুপ্রবেশকারীদের পক্ষে এখন আওয়াজ তুলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে অনুপ্রবেশকারীদের আমরা বাংলাদেশে ফেরাবই। শরণার্থীদের পাশে থাকব আমরা। '
[আরও পড়ুন : ভোটের রাজনীতির জন্য বাংলায় অনুপ্রবেশ, ঢুকছে উগ্রপন্থী! মমতাকে নিশানা দিলীপের]
তিনি বলেন, অনুপ্রবেশকারীদের বাংলাদেশে পাঠালেই তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্কে ধস নামবে। এই বাংলায় ক্ষমতায় আসবেন তাঁরাই। তবেই বাংলার উন্নয়ন হবে। বাংলাকে রক্ষা করতে বাংলায় মানোন্নয়ন ঘটাতে বিজেপিকে দরকার। বাংলার প্রতিটি গ্রাম গ্রামে এই আওয়াজ তুলতে হবে। তৃণমূলের বিদায়ঘণ্টা বাজিয়ে দিতে হবে। যতদিন না তৃণমূলকে বাংলা থেকে বিদায় করা যাচ্ছে আমাদের বিজয় রথ থামবে না। এই ভাষাতেই ২০১৯-এর সুর বেঁধে দেন অমিত শাহ।
তিনি বলেন, বিজেপি সঠিক পথেই এগোচ্ছে। বাংলায় আমরা বেড়ে চলেছি। এভাবে চললেই আমাদের লক্ষ্যপূরণ হবে। বাংলার যুব সমাজ বিজেপির ডাকে সাড়া দিয়েছে। তাই এদিন বিপুল উন্মাদনা লক্ষ্য করা গিয়েছে এই সভায়। বাংলার দূর-দূরান্ত থেকে যুবমোর্চার ডাকে যেভাবে বাংলার মানুষ ছুটে এসেছেন, তাতে জয় হবেই হবে।