মোদীকে একবার সুযোগ দিন, বাংলা থেকে লোকসভায় ২২-এর ‘প্রার্থনা’ অমিত শাহের
বাংলার উন্নয়নের জন্য মোদীকে কেন দরকার তার ব্যাখ্যা করে অমিত শাহ বলেন, বাংলা থেকে ৪২-এ ২২ চাই। তাহলেই বাংলায় পরিবর্তন আসবে।
যুব মোর্চার স্বাভিমান যাত্রার মঞ্চ থেকে লোকসভার প্রচার শুরু করলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। শনিবার বাংলার বুকে পরিবর্তনের দাবিতে তিনি নরেন্দ্র মোদীকে একবার সুযোগ দেওয়ার কথা বললেন। বাংলার উন্নয়নের জন্য মোদীকে কেন দরকার তার ব্যাখ্যা করে অমিত শাহ বলেন, বাংলা থেকে ৪২-এ ২২ চাই। তাহলেই বাংলায় পরিবর্তন আসবে।
এদিন এনআরসি থেকে দুর্নীতি, অনুপ্রবেশকারী থেকে শরণার্থী- বিভিন্ন ইস্যুতে তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তোলেন অমিত শাহ। কার্যত লোকসভার প্রচারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই মূলত আক্রমণ করেন অমিত শাহ। তাঁর বার্তা, বাংলার উন্নতি একমাত্র করতে পারে বিজেপি। বামেরা পারেনি, তৃণমূলও পারবে না। তাই বাংলায় বিজেপিকে দরকার।
তৃণমূল সরকারকে উৎখাতের ডাক দিয়ে অমিত শাহ বলেন, মমতাদি, আমরা কী করে বাংলা বিরোধী হতে পারি। আমাদের পার্টির প্রতিষ্ঠাতা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। আমরা রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দকে পূজা করি, তাহলে আমরা কী করে বাংলা বিরোধী হতে পারি। আমরা বাংলা বিরোধী নই, আমরা মমতা বিরোধী।
এদিন অনুপ্রবেশকারীদের তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্ক বলে আখ্যায়িত করে অমিত শাহ চাপ সৃষ্টি করেন শরণার্থী নিয়ে। তিনি ভোটের রাজনীতি নিয়ে তৃণমূলকে পাল্টা দিয়ে বলেন, তাই এনআরসি-তে এখন গ্রাত্রদাহ হচ্ছে তৃণমূলের। আমরা সমস্ত অনুপ্রবেশকারীকে বাংলাদেশ পাঠিয়ে ছাড়ব। মমতাজি আপনি বিরোধিতা করে আটকাতে পারবেন না। আমাদের কাছে দেশের নিরাপত্তা সবার আগে, ভোট-ব্যাঙ্ক আগে নয়। তবে আমরা অবশ্যই শরণার্থীদের পাশে থাকব। শরণার্থীদের নাগরিকত্ব প্রদানের জন্য বিল পাস করব।
[আরও পড়ুন : তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্ককে বাংলাদেশ পাঠিয়েই ছাড়ব, ধর্মতলায় হুঙ্কার বিজেপি সভাপতির]
তিনি বলেন, শুধু ২০১৯ নয়, বাংলায় ক্ষমতায় আসা আমাদের লক্ষ্য। বাংলার মানুষ বাংলার উন্নয়ন ঘটাতেই বিজেপিকে ক্ষমতায় আনবে। বাংলাকে রক্ষা করতে, বাংলার উন্নয়ন ঘটাতে বিজেপিকে দরকার। বাংলার প্রতিটি গ্রাম গ্রামে এই আওয়াজ তুলতে হবে। তৃণমূলের বিদায়ঘণ্টা বাজিয়ে দিতে হবে। যতদিন না তৃণমূলকে বাংলা থেকে বিদায় করা যাচ্ছে আমাদের বিজয় রথ থামবে না বিজেপির।
[আরও পড়ুন : তৃণমূলকে উৎখাত-বার্তায় বাংলায় বিজেপির 'বিজয় রথ' ছোটানোর ডাক অমিত শাহের]