তৃণমূলের পাল্টা প্রচারে বিজেপি, সিবিআই-ইডি তদন্ত নিয়ে এবার রণকৌশল চূড়ান্ত মন্থন শিবিরে
সিবিআই আর ইডি নিয়ে তৃণমূলের পাল্টা প্রচারে নামার সিদ্ধান্ত নিল বিজেপি। এতদিন তৃণমূল অভিযোগ করে আসছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই আর ইডিকে পাঠিয়ে হেনস্থা করা হচ্ছে তৃণমূল নেতাদের।
সিবিআই আর ইডি নিয়ে তৃণমূলের পাল্টা প্রচারে নামার সিদ্ধান্ত নিল বিজেপি। এতদিন তৃণমূল অভিযোগ করে আসছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই আর ইডিকে পাঠিয়ে হেনস্থা করা হচ্ছে তৃণমূল নেতাদের। বিজেপি পরিকল্পিতভাবে তৃণমূলকে হেনস্থা করেত ইডি-সিবিআই পাঠাচ্ছে। বিজেপি এবার তার পাল্টা প্রচারে নামতে চলেছে, ইডি-সিবিআইয়ের সঙ্গে আসলে সেটিং রয়েছে তৃণমূলেরই।
ইতিমধ্যেই বিজেপি বলতে শুরু করেছে, ইডি আর সিবিআইয়ের সঙ্গে তৃণমূলের যোগসাজোশ রয়েছে বলেই তারা আগাম জানতে পারেছে যে কাকে কখন ডাকা হবে। সম্প্রতি রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব এবং জেলা সভাপতি ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে যে মন্থন শিবির হচ্ছে, সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, তৃণমূলের বিরুদ্ধে এই অবস্থান নিয়ে পাল্টা প্রচারে নামবে বিজেপি।
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে সমাবেশে মমতা বন্যো্ছপাধ্যায় ও অভিষেক বন্যোরয়পাধ্যায় সিবিআই বা ইডি নিয়ে যে আশঙ্কার কথা তুলে ধরেছিলেন, তা মিলে গিয়েছে পরদিনই। মমতা বলেছিলেন, এদিন অভিষেক এত ভালো বক্তব্য রেখেছে, কালকেই হয়তো তাঁকে ইডি নোটিশ পাঠাবে। ঠিক সেই মতোই নোটিশ পাঠিয়েছে ইডি। আবার অভিষেক বলেছিলেন একুশের জুলাইয়ের সফল সমাবেশের পরদিনই যেমন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে ইডি গিয়েছিল, তেমনই তৃণমূলের এই ছাত্র সমাবেশেরও পর চার-পাঁচ দিনের মধ্যেই কিছু একটা ঘটবে। পরদিনই ইডি নোটিশ পাঠিয়ে দিয়েছে।
এরপরই প্রচার শুরু করেছে বিজেপি থেকে সিপিএম। সিপিএম বলছে, বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলের সেটিং রয়েছে, তাই তাঁরাও জানে কখন কাকে ডাকা হবে। সেইজন্যই আগে থেকে নাম বলে দিতে পারছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-রা। এবার বিজেপি প্রচার শুরু করে দিল, আসলে তৃণমূলের সঙ্গে সেটিং রয়েছে ইডি-সিবিআইয়ের। তাই তাঁরা আগে থেকে জেনে যাচ্ছে কাকে কখন ডাকা হবে।
বিজেপির প্রশিক্ষণ শিবিরে আলোচনার পর স্থির হয়েছে তারা তৃণমূলের পাল্টা প্রচার করবে ইডি-সিবিআই নিয়ে। তৃণমূল এতদিন প্রচার করে এসেছে বিজেপির অঙ্গুলিহেলনে চলছে ইডি-সিবিআই। এখন থেকে বিজেপি প্রচার করবে, আসবলে ইডি-সিবিআইয়ের সেটিং তৃণমূলের সঙ্গে। তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের যোগসাজোসেই তাঁরা তদন্ত প্রক্রিয়া চালাচ্ছে।
বিজেপির প্রশিক্ষণ শিবিরে এদিন এই মর্মে আলোচনা হয়। তারপরই স্থির হয় যে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার উপর কোনও রাজনৈতিক জোর থাকে না। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা একটি স্বশাসিত সংস্থা। তা নিয়েই মানুষকে বোঝাতে হবে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে পাল্টা প্রচারের রাস্তায় হেঁটেই তাঁরা মানুষকে এই কথা বোঝাবে। বঙ্গ বিজেপিকে এই মর্মে নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ নেতৃত্বকে।