মমতার দরবারে হাজির বিজেপি সাংসদ! ২০১৯-এর নয়া সমীকরণ নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে
কট্টর হিন্দুত্ববাদী নেতা বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী কেন হঠাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে নবান্নে এসে দেখা করলেন তা নিয়ে জোর চর্চা চলছে।
বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাক্ষাৎকার নিয়ে এখন রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে। কট্টর হিন্দুত্ববাদী নেতা স্বামী কেন হঠাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে নবান্নে এসে দেখা করলেন তা নিয়ে জোর চর্চা চলছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন ফেডেরাল ফ্রন্ট গঠন করতে উদ্যোগী হয়েছেন, তখন বিতর্কিত এই বিজেপি নেতার নবান্নে আগমন যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন:মুকুল রায় বাংলার মানুষের মন পাবেন না! ছেলে শুভ্রাংশুর 'স্মার্ট'-তোপে বিদ্ধ বাবা]
মঙ্গলবার নবান্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে একান্তে বৈঠক করেন সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। এই বৈঠক প্রসঙ্গে সুব্রহ্মণ্যম স্বামী বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আমার তারকেশ্বর মন্দির নিয়ে কথা হয়েছে। তারকেশ্বর মন্দিরের উন্নয়ন নিয়ে তিনি তৃণমূল সরকারের উদ্যোগে নিজের খুশি ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, তৃণমূল সরকার এই মন্দিরের উন্নতিকল্পে দারুন কাজ করেছে। একদিন এই মন্দিরের কমিটির মাথায় পিরহাদ হাকিমকে বসানো নিয়ে সুব্রহ্মণ্যম স্বামী আক্রমণ শানিয়েছিলেন। এখন সেই তিনিই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
আর সেইসঙ্গে বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ অথচ রাজনৈতিক বিষয়ে আলোচনা হবে না, তা তো হতে পারে না। তাঁর সঙ্গে বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষিতে নানা আলোচনা হয়েছে। তবে সেই আলোচনা নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি। এই আলোচনার বিষয় নিয়েই জল্পনা।
সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফেডেরাল ফ্রন্ট গঠনের উদ্যোগী হয়েছেন। সেই ফ্রন্টে বিভিন্ন রাজ্যের আঞ্চলিক শক্তিকে এক ছত্রছায়ায় আনতে চাইছেন। এই প্রক্রিয়ায় বিজেপি খুশিই হবে। তার কারণ বিরোধী ভোট ভাগাভাগি হলে লাভ বিজেপির। সেই কারণে প্রকারান্তরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই উদ্যোগকেও সাধুবাদ দেন তিনি। কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে জোট মানে বিজেপিরই লাভ, সেটা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে।
[আরও পড়ুন:'মুক্তি' পেলেন পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত লালুপ্রসাদ, কোন শর্তে 'মুক্ত' তিনি]