নেত্রী নয়, মা হিসেবেই জিডি বিড়লায় ধরনা! ‘রণে-ভঙ্গ’ দিয়ে সাফাই রূপার
রাতভর স্কুলের সামনে অবস্থান করে মঙ্গলবার সকালে রূপা অবস্থান প্রত্যাহার করলেন নিগৃহীতার বাবার অনুরোধে। এর আগে অবশ্য একমাত্র বিজেপি মোর্চা সভানেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় নিগৃহীতার বাড়িতে গিয়েছিলেন।
বিজেপির একজন নেতা-নেত্রীও জিডি বিড়লা-কাণ্ডে রাজনীতির ময়দানে নামেননি। বিজেপি সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায় 'একা' রানিকুঠির স্কুলে ছাত্রীর যৌন নিগ্রহের ঘটনায় প্রিন্সিপালকে গ্রেফতারের দাবিতে ময়দানে নেমে অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হন সোমবার। রাতভর স্কুলের সামনে অবস্থান করে মঙ্গলবার সকালে রূপা অবস্থান প্রত্যাহার করলেন নিগৃহীতার বাবার অনুরোধে। এর আগে অবশ্য একমাত্র বিজেপি মোর্চা সভানেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় নিগৃহীতার বাড়িতে গিয়েছিলেন। গিয়েছিলেন যাদবপুর থানাতেও। কিন্তু স্কুল চত্বরে আসেননি তিনি।
[আরও পড়ুন:জিডি বিড়লা কাণ্ডে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক নিয়ে জটিলতা, লালবাজারে তলব প্রিন্সিপালকে]
রূপা এদিনও সেই একই প্রশ্নের মুখে পড়ে জানান, তিনি এখানে রাজনীতি করতে আসেননি। এসেছেন একজন মা হিসেবে। তিনি রাজনীতি করবেন না, মা হিসেবে অভিভাবকদের পাশে দাঁড়াবেন তিনি। কারণ তিনিও একজন মা। মায়ের যন্ত্রণা তিনি বোঝেন। এখানে অবস্থানের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল এটাই। এখন নিগৃহীতা ছাত্রীর বাবার অনুরোধে তিনি অবস্থান প্রত্যাহার করে নিলেন।
রূপার কথায় স্পষ্ট, প্রিন্সিপালের গ্রেফতারের দাবিতে তাঁর অবস্থান-ধরনার পিছনে তাঁর পার্টি ছিল না। বিজেপি নেত্রী হিসেবে তিনি আসেননি বলে মত জানিয়ে তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন সে কথা। তিনি এদিন লালবাজার অভিযানেও অংশ নেবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, সোমবার অভিভাবকদের জমায়েতে অংশ গ্রহণ করে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল। গো ব্যাক স্লোগান উঠেছিল রূপার বিরুদ্ধে। অভিযোগ উঠেছিল রাজনীতি করার। তবু এলাকা ছেড়ে যাননি। তাঁর অনুগামী কয়েকজনকে নিয়ে তিনি এরপর ধরনায় বসেন। যতক্ষণ না প্রিন্সিপালকে গ্রেফতার করা হচ্ছে, ততক্ষণ অবস্থান চলবে বলে জানান। এদিন সকালে মত বদল করে রণে ভঙ্গ দেন নির্যাতিতার বাবার অনুরোধে।