বিজেপির জয়ী পঞ্চায়েত সদস্যরা দলে দলে তৃণমূলে, পুরুলিয়ায় গেরুয়া শিবিরে ফের ভাঙন
একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ ও মেদিনীপুরে মোদীর পাল্টা সভা থেকে তৃণমূল দাবি জানিয়েছিল বিজেপির জয়ী বেশ কিছু পঞ্চায়েত সদস্য যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। ফের পুরুলিয়ার বিজেপি সংগঠনে ভাঙন ধরিয়ে দিল তৃণমূল কংগ্রেস।
একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ ও মেদিনীপুরে মোদীর পাল্টা সভা থেকে তৃণমূল দাবি জানিয়েছিল বিজেপির জয়ী বেশ কিছু পঞ্চায়েত সদস্য যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। সেদিনের সেই দাবিকে ফাঁকা আওয়াজ বলে তোপ দেগেছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সোমবার অবশ্য পুরুলিয়ার বিজেপি সংগঠনে ভাঙন ধরিয়েই দিল তৃণমূল কংগ্রেস।
শনিবার পর রবিবারও ঘটা করে বিজেপির জয়ী পঞ্চায়েত সদস্যরা তৃণমূলে যোগদান করলেন। বিজেপির গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য, একজন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা ও পুরুলিয়া শহর বজরং দলের চারজন সক্রিয় কর্মী তৃণমূলে যোগ দেন। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন তৃণমূল জেলা সভাপতি তথা পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়নমন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো।
পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর দু-নম্বর ব্লকের মৌতোর গ্রাম পঞ্চায়েতের জয়ী বিজেপি সদস্যা সন্তোষী মুখোপাধ্যায়, সমিতি সদস্যা সীমা বাউড়ি, বজরং দলের দলের অনিলকুমার মর্দানা, ইন্দ্রাণী চট্টোপাধ্যায়, অপর্ণা বরাট ও নিহারী মোদক শতাধিক সমর্থক নিয়ে গেরুয়া শিবির ছে়ড়ে তৃণমূলে যোগদান করেন।
[আরও পড়ুন: এরাজ্যের সরকারি পাঠ্য পুস্তকে মিলখা সিংয়ের ছবি বিপর্যয়! টুইটে বিঁধলেন ফারহান]
শনিবার পুরুলিয়ার ঝালদা এক নম্বর ব্লকের দড়দা গ্রাম পঞ্চায়েতের দুই বিজেপি সদস্য যোগ দেন তৃণমূলে। দুই সদস্যা বিজয়া লায়া ও বিলাসী রুইদাস ছাড়াও বিজেপির যুবমোর্চা নেতা রাজেশ রায়-সহ দলের অন্যকর্মীরাও তৃণমূলে য়োগ দেন। দলীয় এক অনুষ্ঠানে সাংসদ শান্তনু সেনের উপস্থিতিতে জেলা সভাপতি তাঁদের হাতে পতাকা তুলে দেন।
[আরও পড়ুন: বীরসেনানিদের দুঃসাহসিক অভিযান কেরলে, সদ্যোজাতকে উদ্ধারের ভিডিও গায়ে কাঁটা দেয়]
শান্তিরাম মাহাতো বলেন, পঞ্চায়েতের আগে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হয়েছিল। সেই বিভ্রান্তি কেটে যেতেই সবাই আবার তৃণমূলে ফিরে আসছেন। শুধু বিজেপিই নয়, অন্যান্য দল থেকেও তৃণমূলে আসছেন। তৃণমূলের বিকল্প তৃণমূলই, অন্য কোনও বিকল্প দল নেই। যাঁরা ফিরে আসছেন আমরা তাঁদের মর্যাদা দিয়েই গ্রহণ করছি।