বিজেপিতে ভাঙন অব্যাহত জঙ্গলমহলে, পার্থর হাত ধরে তৃণমূলে ফিরলেন একঝাঁক নেতা
একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে ঝাড়গ্রাম বিজেপির ৪০ জন পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলে যোগদান করেছিল। তারপরও বিজেপি ভাঙন ঠেকাতে ব্যর্থ। বৃহস্পতিবার ফের ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূলে বড়সড় ভাঙন দেখা দিল।
একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে ঝাড়গ্রাম বিজেপির ৪০ জন পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলে যোগদান করেছিল। তারপরও বিজেপি ভাঙন ঠেকাতে ব্যর্থ। বৃহস্পতিবার ফের ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূলে বড়সড় ভাঙন দেখা দিল। এবার বিজেপির জেলা সংগঠনের শীর্ষনেতারা কলকাতায় এসে যোগ দিলেন তৃণমূলে। তৃণমূল মহাসচিবের সঙ্গে দেখা করার পরই তাঁরা যোগদান করেন শাসক দলে।
একুশে জুলাইয়ের সভায় সবার নাম ঘোষণা করা হয়নি, তা নিয়ে বিতর্ক বেধেছিল। ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূলও দু-একজন ছাড়া সবার নাম পরিষ্কার করে বলতে পারছে না বলে অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি। এবার কিন্তু সেই অভিযোগ তোলার জায়গা রাখল না তৃণমূল কংগ্রেস।
এবার রাখঢাক না করে তৃণমূলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল বিজেপি ছেড়ে কারা এলেন তৃণমূল কংগ্রেসে। সেই নামের তালিকা বেশ দীর্ঘই। দলত্যাগীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন, বিজেপির ঝাড়গ্রাম জেলা সহ সভাপতি অজয়কুমার সেন, সুশীলকুমার ঘোষ, কৃষ্ণ প্রধান, প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক অমলকুমার কর, স্বপনকুমার মাহাতো, বেলপাহাড়ির মণ্ডল সভাপতি দীনবন্ধু কর্মকার, সাধারণ সম্পাদক নারায়ণচন্দ্র মাণ্ডি, ঝাড়গ্রামের আইন সেলের নেতা দীপঙ্কর ধর, ব্লক নেতা নিখিলেশ পাল প্রমুখ।
ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান সুরুমার হাঁসদা, তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষা সমিতির নেতা কৃষ্ণেন্দু বিশইয়ের নেতৃত্বে তাঁরা তৃণমূল মহাসচিবের সঙ্গে দেখা করে বৃহস্পতিবার। তারপরই তাঁরা তৃণমূলে যোগদানের কথা ঘোষণা করেন। তাঁদের কথা, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন-কর্মযজ্ঞে সামিল হতেই তাঁদের দলবদল।
তাঁরা এমনও বলেন, ঝাড়গ্রাম যে আগের তুলনায় বদলে গিয়েছে এবং তা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্ব, তা বলাই বাহুল্য। আর বিজেপিতে তাঁরা গিয়েছিলেন বটে, কিন্তু বিজেপিতে কোনও সংগঠন নেই। এভাবে কোনও দল চলতে পারে না। তাঁরা ভুল বুঝতে পেরেই তৃণমূলে ফিরে আসতে মনস্থ করেছেন। তাঁরা চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত করে জঙ্গলমহলের উন্নয়ন ত্বরাণ্বিত করতে।
[আরও পডুন: বঙ্গ বিজেপিতে বড়সড় রদবদল, মিশন ২০১৯-এর লক্ষ্যে মোদী পাঠাচ্ছেন 'সেনাপতি']