গোয়ায় সফল বিজেপি নেতাকে বাংলার ১৮ টি সাংগঠনিক জেলার দায়িত্ব! প্রভাবশালী নেতার 'অব্যাহতি' নিয়ে জল্পনা
গোয়ায় সফল বিজেপি নেতাকে বাংলার ১৮ টি সাংগঠনিক জেলার দায়িত্ব! প্রভাবশালী নেতার 'অব্যাহতি' নিয় জল্পনা
বৈদিক ভিলেজে বিজেপি (BJP) তিন দিনের সাংগঠনিক বৈঠক শেষ। পশ্চিমবঙ্গের (West bengal) দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা সুনীল বনসল শুরুতেই সংগঠনে রদবদল করলেন। রাজ্যে বিজেপির ১৮ টি সাংগঠনিক জেলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সতীশ ধনদকে (Satish Dhanad)। এক্ষেত্রে কি দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা অমিতাভ চক্রবর্তীর (Amitava Chakraborty) ডানা ছাঁটা হল কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।
সতীশ ধনদকা আগেই আনা হয়েছে বাংলায়
সতীশ ধনদকে আগেই বাংলায় আনা হয়েছে। আর আগে তাঁর হাতে শুধুমাত্র আসানসোল সাংগঠনিক জেলার দায়িত্ব ছিল। রাজ্য বিজেপির তিন দিনের প্রশিক্ষণ শেষে তাঁর হাতে ১৮ টি সাংগঠনিক জেলার দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়। তালিকায় রয়েছে বর্ধমান, বীরভূমের মতো গুরুত্বপূর্ণ জেলাও। প্রসঙ্গত রাজ্যে বিজেপির সাংগঠনিক জেলার সংখ্যা ৩৯ টি।
গোয়ায় সাফল্য পেয়েছিলেন
সতীশ ধনদ গোয়ায় বিজেপির সাধারণ সম্পাদক পদে ছিলেন। তিনি থাকার সময়ে গোয়ায় সাফল্য পেয়েছে বিজেপি। সেই সাফল্যের কথা মাথায় রেখে তাঁকে বাংলায় আনা হয়। এবার তাঁর হাতে বড় দায়িত্ব দেওয়া হল। রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়ে গেলেই ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের দামামা বেজে যাবে। সেই পরিস্থিতিতে সতীশ ধনদের সাংগঠনিক দক্ষতা কাজে লাগাতেই তাঁকে বাংলায় আনা হয়েছে বলেও মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ।
অভিতাভ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে উঠেছিল অভিযোগ
অন্যদিকে, সতীশ ধনদের ওপরে দায়িত্ব দেওয়ার অর্থ হল অমিতাভ চক্রবর্তীর ক্ষমতার কোপ বসানো। আগে অমিতাভ চক্রবর্তীকে নিয়ে ক্ষোভ দেখা গিয়েছে বিজেপির অন্দরমহলে। আগে সক্রিয় থাকা বেশ কয়েকজন নেতাকে এখন আর সেভাবে দেখা যায় না। সেই পরিস্থিতিতে এই দায়িত্ব বন্টন যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ। সাধারণভাবে বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সংগঠনের পদটি নির্দিষ্ট থাকে দলে আরএসএস থেকে আসা নেতার জন্য। রাজ্য সভাপতির পরেই দলে তাঁর ক্ষমতা। কিন্তু ১৮ টি সাংগঠনিক জেলায় অমিতাভ চক্রবর্তীর আর কোনও ক্ষমতা থাকবে না বলেই মনে করছে রাজ্য বিজেপির অন্দরমহল।
দীর্ঘদিন নেতৃত্বের আসনে অমিতাভ চক্রবর্তী
দিলীপ ঘোষকে রাজ্য সভাপতি পদ থেকে সরানো হয়েছে প্রায় ১ বছর আগে। দিলীপ ঘোষ রাজ্য সভাপতি থাকার সময় রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন সুব্রত চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু বিভিন্ন কারণে তাঁকে ২০২০-র অক্টোবরের শেষ দিকে বিজেপির সাধারণ সম্পাদক, সংগঠনের পদ থেকে সরানো হয়। তাঁর জায়গায় আনা হয় অমিতাভ চক্রবর্তীকে। তারপরে বিভিন্ন সময়ে সাংগঠনিক রদবদলে তাঁর বিরুদ্ধে বারে বারে অভিযোগ উঠছে। তবে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের কোনও জবাব দিতে দেখা যায়নি অমিতাভ চক্রবর্তীকে। বর্তমান পরিস্থিতিতে বঙ্গ বিজেপির অভ্যন্তরে ঠাণ্ডা লড়াই বন্ধ করতে অমিতাভ চক্রবর্তীর দায়িত্ব হ্রাস করে বার্তা দেওয়া হল বলেি মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
বেকার যুবকদের স্বপ্ন ধ্বংস করেছেন! মমতার চাপেই ৮০০-১০০০ কোটি ঘুষ নিয়েছেন পার্থ, বিস্ফোরক শুভেন্দু