'আগুন লাগাচ্ছে তৃণমূলই', বাগবাজার কাণ্ডে দাবি সায়ন্তনের, বিচারপতির নেতৃত্বে তদন্ত চান রাহুল
বাইপাসে ঝুপড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে একমাসও হয়নি তারমধ্যেও আরও একটি বড় আগুন কলকাতা শহরে। বাগবাজারের ঝুপড়িতে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গিয়েছে গোটা বস্তি। শহরে পর পর এই ধরনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাকে সহজ ভাবে নিতে রাজি নন বিজেপি নেতারা। সায়ন্তন বসু দাবি করেছেন আগুন লাগার পিছনে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে। মানুষকে বিপদে ফেলে ভোট কেনার চেষ্টা চলছে। ইচ্ছা করে তৃণমূল কংগ্রেস আগুন লাগাচ্ছে বলে দাবি করেথেন সায়ন্তন। এদিকে আবার রাহুল সিনহা বিচারপতির নজরদারিতে বাগবাজারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।

বাগবাজারে বিধ্বংসী আগুন
বুধবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত দাউ দাউ করে জ্বলেছে বাগবাজারের হাজারহাত বস্তি। পুড়ে ছাই ১৫০টি ঝুপড়ি। চোখের পলকে আকাশের নিচে এসে দাঁড়াতে হয়েছে ৭০০ মানুষকে। এতোটাই ভয়ঙ্কর ছিল সেই আগুন। সর্বস্ব গ্রাস করে নিয়েছে আগুনের লেলিহান শিখা। বস্তিবাসীর দাবি পরিকল্পনা করে আগুন লাগানো হয়েেছ। কোনও দুর্ঘটনা থেকে আগুন লাগেনি। যদিও আগুন লাগার কারণ সন্ধানে ফরেন্সিক দল এলাকা থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে।

তৃণমূলের যড়যন্ত্রে আগুন
বাগবাজারের বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে দাবি করেছেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু। তিনি অভিযোগ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস ভোট পাওয়ার জন্য আগুন লাগাচ্ছে শহরে। মানুষকে বিপদে ফেলে ভোট কেনার চেষ্টা করছে তৃণমূল কংগ্রেস। দমকলও ইচ্ছে করেই দেরিতে আসছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। এই নিয়ে দমকলকেও কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন বিজেপি নেতা।

তদন্তের দাবি
বাগবাজারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বিচারপতিকে দিয়ে তদন্ত করানোর দাবি জানিয়েছেন আরেক বিজেপি নেতা। রাহুল সিনহার দাবি বাগবাজারের আগুন লাগার ঘটনায় রহস্য রয়েছে। এর নিরপেক্ষ তদন্ত জরুরি। গরিবের সর্বস্ব পুড়িয়ে মাল্টিস্টোরেড বিল্ডিং হচ্ছে। তাই হাইকোর্টের বিচারপতির নেতৃত্বে কমিটি গঠন করে তদন্তের দাবি করেছেন তিনি। এরই সঙ্গে রাহুল সিনহা বলেছেন সরকার যদি বাড়ি তৈরি না করে দেয় বস্তিবাসীকে তাহলে বিজেপি বাড়ি তৈরি করে দেবে তাঁদের।

মমতার প্রতিশ্রুতি
বাগবাজারের বস্তিবাসীদের সকলকে রাজ্য সরকার ঘর তৈরি করে দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার সকালে তিনি এলাকা পরিদর্শন করেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন শশী পাঁজা। বস্তিবাসীদের থাকা খাওয়ার বন্দোবস্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। শশী পাঁজাকে দায়িত্ব দিয়েছেন তিনি। বস্তিবাসীদের সকলকে ৫ কেজি চাল, ডাল, বিস্কুট দেওয়ার নির্দেশ। তার সঙ্গে বস্ত্র ও শীতের জামাকাপড় দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।
