পঞ্চায়েত ভোট প্রক্রিয়ায় ফের গোল বাধল, কমিশনের বৈঠক বয়কট করে আদালতমুখী বিজেপি
পঞ্চায়েত মামলায় ফের গোল বাধল। কমিশনের সঙ্গে বৈঠক বয়কট করে ফের আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিল বিজেপি।
পঞ্চায়েত মামলায় ফের গোল বাধল। কমিশনের সঙ্গে বৈঠক বয়কট করে ফের আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিল বিজেপি। পাঁচ জন প্রতিনিধি নিয়ে ঢুকতে বাধা পেয়েই বৈঠক বয়কটের সিদ্ধান্ত নেন বিজেপির প্রতিনিধিরা। বিজেপি নেতা দাবি করেন, নির্বাচন কমিশনে বৈঠকে যোগ দিতে এসে হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে।
আদালতের নির্দেশ মেনে শনিবার দুপুরে রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে আলাদা আলাদা বৈঠক করে নির্বাচন কমিশন। চিঠিতে জানানো হয়, প্রত্যেক দলের দুজন প্রতিনিধি থাকবে এই বৈঠকে। অভিযোগ, বিজেপি পাঁচজন প্রতিনিধি নিয়ে বৈঠকে ঢুকতে যায়। তখনই প্রশাসনের তরফে বাধা দেওয়া হয়।
বিজেপি নেতা নেতা মুকুল রায় জানান, তাঁদের হেনস্থা করা হয়েছে। সেই কারণে নির্বাচন কমিশনের বৈঠকে তাঁরা যোগ দেবেন না। তাঁরা ফের আদালতে যাবেন নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে। মুকুল রায়ের দাবি, বিজেপি যেহেতু পঞ্চায়েত মামলার মূল আবেদনকারী, সেহেতু তাঁদের পাঁচজন প্রতিনিধি গিয়েছিল নির্বাচন কমিশনে।
কমিশনে ঢোকার মুখেই তাঁদের জানানো হয়, দুজনের বেশি এই বৈঠকে যোগদান করা যাবে না। নির্বাচন কমিশনের দফতরে মোতায়েন করা পুলিশকর্মীরা তাঁদের বাধা দেন। তখনই বিজেপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, তাঁদের পাঁচজনকেই বৈঠকে প্রবেশ করতে দিতে হবে, নইলে তাঁরা বৈঠকে বয়কট করবেন। মুকুল রায় বলেন, অনেক ভোট করিয়েছি। আমি দিল্লিতে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দফতরেও গিয়েছি। কিন্তু কখনও এমন হেনস্থার শিকার হইনি।
বিজেপি কমিশনে ঢুকতে বাধা পেয়ে ফের আদালতমুখী হচ্ছে। বিজেপির দাবি, পঞ্চায়েত মামলায় আদালত নির্দেশ দিয়েছে মামলার মূল আবেদনকারীর সঙ্গে বৈঠক না করে কি্ছুতেই নির্ঘণ্ট ঘোষণা করতে পারবে না। সেক্ষেত্রে কমিশন আদালত অবমাননার দায়ে পড়বে। তখন ফের আমরা মামলা করব।
বিজেপির এই অবস্থান প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস-সহ রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, বিজেপি ভোট বানচাল করতে চাইছে। সেই কারণে চিঠিতে দুজন প্রতিনিধি পাঠানোর কথা থাকলেও, পাঁচজন এই বৈঠকে যোগ দিতে চেয়ে হল্লার সৃষ্টি করে। তারপর ভোট বয়কট করে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে আরও বিলম্বিত করার চেষ্টায় সামিল হয় বিজেপি।