সিভিক ভলান্টিয়ারের পোশাকে রাস্তায় কর্মীরাই! মমতাকে হত্যার হুমকি নিয়ে আর যা বললেন মুকুল
বাংলার বাতাসে বারুদের গন্ধ। রক্তাক্ত অবস্থা। সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে এই প্রথম রাজ্যে পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন হচ্ছে না। এমনটাই মন্তব্য করলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়।
বাংলার বাতাসে বারুদের গন্ধ। রক্তাক্ত অবস্থা। সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে এই প্রথম রাজ্যে পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন হচ্ছে না। এমনটাই মন্তব্য করলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। এ বিষয়ে ব্যর্থতার দায় যে রাজ্য সরকার ও নির্বাচন কমিশনের তা বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৩ এপ্রিল থেকে রাজ্যে ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে সবকটি রাজনৈতিক দলের সদস্য কিংবা কর্মী রয়েছে। তালিকা হাতে নিয়ে রবিবার এমনটাই দাবি করলেন মুকুল রায়। তবে এই ৩৬ জনের মধ্যে ২২ জনই সংখ্যালঘু। তৃণমূল সরকার দাবি করে যে তারা সংখ্যালঘুদের পিছনে রয়েছে। তাহলে কেন এই ঘটনা, সেই প্রশ্ন এদিন করেছেন মুকুল রায়।
একইসঙ্গে মুকুল রায়ের অভিযোগ, রাজ্যের সব এসপির অফিসকে নির্দেশ দিয়ে পোশাক বানিয়ে ভোটের দিনের জন্য তৃণমূল ক্যাডারদেরই সিভিক ভলান্টিয়ার হিসেবে নামানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জমানা, জ্যোতি বসু কিংবা সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়ের জমানাকেও হার মানাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। এবারের ভোটে সিপিএম-এর আমলের চটি পরা পুলিশের মতো সিভিক ভলান্টিয়ার দেখা যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন মুকুল রায়।
মুখ্যমন্ত্রীর প্রাণনাশের চেষ্টার অভিযোগ নিয়েও কটাক্ষ করেন মুকুল রায়। তালিকা দেখিয়ে তিনি বলেন, এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে ন'বার নিজের প্রাণনাশের চেষ্টার অভিযোগ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার শুরু হয়েছিল ১৬ অগাস্ট ১৯৯০ সালে। তবে পঞ্চায়েত ভোটের মুখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে অভিযোগ করেছেন, তা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ কিংবা কেন্দ্রের তদন্তকারী সংস্থা নয়, নিজের পছন্দ মতো অন্য রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে যাতে মুখ্যমন্ত্রী তদন্ত করেন সেই দাবি তুলেছেন মুকুল রায়।