মমতাকে নিয়ে বিস্ফোরক মুকুল! তার বিরুদ্ধে কত মামলা, ছেলেকে নিয়ে যা বললেন বিজেপি নেতা
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার প্রতিহিংসাপরায়ণ। এমনটাই অভিযোগ করেছেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। আগে তার বিরুদ্ধে কোনও মামলা না থাকলেও, এই সরকারে আমলে তার বিরুদ্ধে ২৭ টি মামলা করা হয়েছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার প্রতিহিংসাপরায়ণ। এমনটাই অভিযোগ করেছেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ৩৫ - ৪০ বছরের রাজনীতি জীবন। আগে তার বিরুদ্ধে কোনও মামলা না থাকলেও, এই সরকারে আমলে তার বিরুদ্ধে ২৭ টি মামলা করা হয়েছে। তৃণমূল নেতা ছেলের প্রাণ সংশয়ের কথাও জানিয়েছেন তিনি।
২৭ মামলা তাঁর বিরুদ্ধে
প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে ২৭ টি মামলা করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এর মধ্যে আছে খুনের মামলাও। সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই অভিযোগ করলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। তাঁকে আটকানোর চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন মুকুল রায়। নিজের শ্যালকের ২০০ দিনের ওপর জেলে থাকার ঘটনাটিও উল্লেখ করেছেন মুকুল রায়। এই সরকার বিচার বিভাগের ওপর দখলদারি চালাচ্ছে। এমনটাও অভিযোগ করেছেন মুকুল রায়।
ছেলের লাইফ থ্রেট
ছেলে তৃণমূল বিধায়ক শুভ্রাংশুকে নিয়ে বলতে গিয়ে মুকুল রায় বলেন, তার লাইফ থ্রেট আছে। রাজনীতিবিদ হিসেবে এমনটাই মন্তব্য করেছেন বলেও জানিয়েছেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। বিষয়টি নিয়ে তাঁর কাছে খবর আছে বলে দাবি করেছেন মুকুল রায়।
শুভ্রাংশু নিজের মতো রাজনীতি করছে
ছেলে শুভ্রাংশু সাবালক। সে তাঁর মতো রাজনীতি করছে। সে তৃণমূল করছে করুক। এপ্রসঙ্গে তাঁর কিছু বলার নেই। এমনটাই মন্তব্য করেছেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। তার পুরোপুরি অধিকার রয়েছে, কোন দল সে করবে। মুকুল রায় বলেন, ছেলের রাজনীতি ছেলের কাছে। এখানে তাঁর কোনও বক্তব্য নেই বলেও জানিয়েছেন মুকুল রায়।
বাবা বিজেপিতে, ছেলে তৃণমূলে। ছেলেকে কেউ কেউ সন্দেহের চোখে দেখছে। প্রশ্নের উত্তরে বিজেপি নেতা মুকুল রায় জানালেন, বাড়ি একছাদের তলায় দুজন ভিন্ন দলের রাজনীতি আগেও করেছে। এখনও করছে। এপ্রসঙ্গে তিনি যশবন্ত সিনহা এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জয়ন্ত সিনহার কথা উল্লেখ করেন মুকুল রায়।
বাবা ছেলেকে রাজনীতিগতভাবে অসুবিধায় ফেলেছেন। এই অভিযোগের উত্তরে মুকুল রায় বলেন, এতে তার কিংবা শুভ্রাংশু কারও কিছু করার নেই।
মমতার সরকারকে কটাক্ষ
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লক্ষ্য করে মুকুল রায়ের কটাক্ষ, যদি জ্যোতি বসুরা পশ্চিমবঙ্গকে ৩০ বছর পিছিয়ে থাকেন, তাহলে এই সরকারের আমলে পশ্চিমবঙ্গ ১০০ বছর পিছিয়ে গিয়েছে।