মোদী রামকৃষ্ণদেবের মতোই ‘যুগাবতার’! তাই তাঁকেই আদর্শ করেছেন বিজেপি নেতা
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের মতোই যুগাবতার বলে মনে করেন বাংলার বিজেপি নেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের মতোই যুগাবতার বলে মনে করেন বাংলার বিজেপি নেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। দীর্ঘদিন বিজেপির 'সেবা' করার পর এতদিনে দলের এক্সিকিউটিভ কমিটিতে স্থান করে নিয়েছেন তিনি। আর প্রথমবার মিটিংয়ে যোগ দিতে গিয়ে মোদীকে যুগাবতারের আসনে বসালেন জয়।
তিনি এদিন বলেন, যে বাংলার স্বপ্ন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেখিয়েছিলেন, তা স্বপ্নই রয়ে যাবে। আমরা নজরুল-রবীন্দ্রনাথের আদর্শের বাংলা গড়তে লোকসভা নির্বাচনে লড়াইয়ে নামব। এই লোকসভা থেকেই বাংলায় বিজেপির জয়যাত্রা শুরু হবে। বিজেপি আদর্শ নিয়ে চলে। মানুষের পাশে থাকার জন্য লড়াই করে।
জয় এদিন বলেন, আমি অভিনয় থেকে রাজনীতিকে পা রেখেছি। রাজনীতিতে এসেছি নরেন্দ্র মোদীকে সামনে রেখে। আমি নরেন্দ্র মোদীকে শ্রীরামকৃষ্ণ ভেবে দেশ সেবা করতে এসেছি। যতদিন বাঁচব, তাঁর আদর্শ নিয়েই মানুষের পাশে থাকব। এসি ঘরে বসে থাকা আমার উদ্দেশ্য নয়। মানুষের পাশে থাকতে চাই।
[আরও পড়ুন:নতুন সভাপতি কে! প্রশ্ন রয়েই গেল, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক হলেন সেই জয়া]
তবে আদর্শের কথা জানানোর পাশাপাশি খেদও ঝরে পড়ে জয়ের কথায়। তিনি বলেন, নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার অনেক আগে থেকেই আমি বিজেপিতে রয়েছি। অনেক নেতার উত্তরণ দেখেছি। এতদিন থমকে ছিলাম এক জায়গায়। এতদিনে দল আমাকে যোগ্য মনে করেছে, এক্সিকিউটিভ কমিটিতে স্থান দিয়েছে। আমার সেই খেদ আর নেই। আমার বিশ্বাস হয়েছে, পরিশ্রম করলে বিজেপিতে ফল পাওয়া যায়।
[আরও পড়ুন: ২০১৯ লোকসভা ভোটে বিজেপির নেতৃত্বে অমিতই, সিদ্ধান্ত বিজেপিতে ]
তিনি এদিন আরও বলেন, বাংলায় রাজনীতির পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর। বোমা-গুলিতে মানুষ মরছে, আবার ব্রিজ ভেঙেও মানুষ মরছে। এই অবস্থায় বাংলায় বিজেপির নেতৃত্বে সরকার গড়তে হবে। সেই লক্ষ্যেই আমরা পরিশ্রম করছি। ২০১৯ থেকেই সেই লক্ষ্যপূরণের পথে এগিয়ে যাব আমরা।
[আরও পড়ুন:২৫ হাজার টাকা দিলেই কড়কড়ে ১ লক্ষের নোট! লোভনীয় 'অফার' কাঁটাতারের ফাঁকে]