শহিদ দিবস পালন বিজেপিতে 'বিরোধ' শুভেন্দু-দিলীপের! নাম না করে 'শিল্পী' মমতার জ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন বিজেপি নেতার
শহিদ দিবস পালন নিয়ে কি বিজেপিতেই দ্বিমত? এদিন সকালে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের কথাতেই তা সামনে এসেছে। প্রসঙ্গত এদিন নন্দীগ্রামে শহিগ স্মরণ দিবসে অংশ নেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিক
শহিদ দিবস পালন নিয়ে কি বিজেপিতেই দ্বিমত? এদিন সকালে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের কথাতেই তা সামনে এসেছে। প্রসঙ্গত এদিন নন্দীগ্রামে শহিগ স্মরণ দিবসে অংশ নেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে তিনি ২০০৭ সালের ৭ জানুয়ারি কথা তুলে ধরেন।
শহিদ দিবস পালন নিয়ে দ্বিমত?
রাজ্যে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকা বামেরা খাদ্য আন্দোলনের শহিদ দিবস-সহ একাধিক শহিদ দিবস পালন করত, তারা এখনও তা করে। তৃণমূল রাজ্যের ক্ষমতায় আসার আগে ২১ জুলাই শহিদ দিবস পালি শুরু করে। পরে সেখানে যুক্ত হয় ৭ জানুয়ারি। নন্দীগ্রাম আন্দোলনে অঙ্গাঙ্গিভাবে যুক্ত শুভেন্দু অধিকারী নন্দীগ্রামে শহিদ দিবস পালন করেন ২০০৮ সাল থেকে। ২০১৯-এ বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই তিনি তা করে আসছেন। কিন্তু তা নিয়ে বিজেপিতেও দ্বিমত কার্যত প্রকাশ্যে। শুভেন্দু অধিকারী যখন নন্দীগ্রামের ভাঙাবেড়ার শহিদ স্মরণ দিবসে অংশ নিচ্ছেন, সেই সময় ইকোপার্কে প্রাতর্ভ্রমণে গিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি বললেন, যাঁরা শহিদ হল, তাঁদের কথা ভুলে গিয়ে সবাই নিজেদের কথা ভাবছেন। শহিদ তো সারা বাংলায় আগে হয়েছে। এখনও হচ্ছে। কোনও একটা দিবস রাজনীতির ইস্যু হয়ে যায়। এটা আগেও হত এখনও হয়।
কুণাল ঘোষকে কটাক্ষ
এদিন সকালে নন্দীগ্রামে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, বিজেপিকে সাপোর্ট করে সিপিএম, যে সিপিএম নন্দীগ্রামে মানুষ মেরেছিল। এব্যাপারে মন্তব্য করতে গিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, বিজেপির কারও সাপোর্ট লাগে না। সামাজিক সাপোর্টে বিজেপি এগোয়। তাঁর প্রশ্ন, ওনারা এতদূর এগোলেন কার সাপোর্ট নিয়ে? যাঁদের সাপোর্ট নিয়ে এলেন, তাঁদেরই খুন হতে হচ্ছে। পার্টির লোক পার্টির নেতার বিরুদ্ধে আবাস যোজনায় নাম কেটে দেওয়ার অভিযোগ তুলছে, হুমকি দিচ্ছে, নিজেদের মধ্যে গুলি চালাচ্ছে। দিলীপ ঘোষ বলেন, এটাই তৃণমূল কালচার। বিজেপি সারা দেশে আছে, বিজেপিকে সবাই চেনে, জানে।
দিদির দূত নিয়ে কটাক্ষ
পঞ্চায়েত
ভেটের
মুখে
নতুন
অ্যাপ
তৃণমূলের।
তৃণমূল
সুপ্রিমো
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়
জানিয়েছেন,
তৃণমূলের
দূত
এখন
বাড়িতে
বাড়িতে
যাবে।
এব্যাপারে
প্রশ্ন
করা
হলে
দিলীপ
ঘোষ
কটাক্ষ
করে
বলেন,
দিল্লির
দূত
এখন
তৃণমূল
নেতাদের
বাড়িতে
বাড়িতে
পৌঁছে
যাচ্ছে।
সেই
ভয়ে
তৃণমূল
কাঁপছে।
রাজ্যবাসী
যথন
শীতে
কাঁপছে,
সেই
সময়
তৃণমূল
সিবিআইয়ের
ভয়ে
কাঁপছে।
তিনি
বলেছেন,
ওরা
যে
দিদির
সুরক্ষা
কবচ
আনছে,
ওটা
ওদের
নেতাদের
লাগবে।
গঙ্গাসাগরে
নিজের
ছবি
বিক্রি
নিয়ে
মুখ্যমন্ত্রীর
মন্তব্য
প্রসঙ্গে
দিলীপ
ঘোষ
বলেছেন,
তিনি
ছবি-টবি
বোঝেন
না।
মনে
হয়
যাঁরা
আঁকেন,
তাঁরাও
খুব
একটা
বোঝেন
না।
কালি
ছিটিয়ে
দিলে
দুরন্ত
ছবি
হয়ে
যায়!
এরকম
ছবি
উচ্চস্তরের
ছবি।
সাধারণ
মানুষ
তা
দেখে
কিন্তু
কিছুই
বোঝে
না।
বেনিফিসিয়ারি অনুব্রত মণ্ডল
সিবিআই তদন্তে গরু পাচার কাণ্ডের লেনদেনে বীরভূমের সমবায় ব্যাঙ্কগুলির বিরুদ্ধে জড়িত থাকা অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। এব্যাপারে দিলীপ ঘোষ বলেছেন, তৃণমূল আমলে সমস্ত ফার্স্ট প্রাইজ তাঁদের নেতারা পেয়েছে। তিনি বলেছেন, নোট বন্দির সময় থেকেই দেখা গিয়েছে, কোটি কোটি টাকা কিভাবে নেতাদের সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। পার্টির নেতারাই এই ব্যাঙ্কের ডিরেক্টর। সমবায় ব্যাঙ্ক মানুষের যা না উপকার করেছে, তার থেকে নেতাদের বেশি উপকার করেছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। সিবিআই-এর তল্লাশির উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, ১৭৭টা ভুয়ো অ্যাকাউন্ট পাওয়া গিয়েছে। অনুব্রত মণ্ডলের পিছনে সিবিআই লেগেছে বলে সব জানা যাচ্ছে। এরকম বহু নেতা আছেন, নিচ থেকে উপরে, তদন্ত হলে সবার নাম বেরোবে।
অনেকের সঙ্গেই বিজেপির যোগাযোগ
পূর্ব মেদিনীপুরের রামচন্দ্র পাণ্ডাকে ভয় দেখিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে বয়ানের চাপ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, ইদানীং সিবিআই আসার পরে হঠাৎ করে সিআইডি সক্রিয় হয়েছে। রামচন্দ্র পাণ্ডাকে ডাকা হয়েছে এক কেসে। জিজ্ঞাসা করা হয়েছে অন্য কেস নিয়ে। বলতে বলা হচ্ছে অন্য কথা। এরকম বহু তথ্য এসেছে। অনেকে ভয়ে বলছে না। তিনি বলেছেন, এর মূল উদ্দেশ্য কাউকে ফাঁসানো। সাম্প্রতিক সময়ে উত্তর হাওড়ার বিধায়ক গৌতম চৌধুরী বলেছেন, তৃণমূল ওষুধের কোম্পানি আর তারা হলেন রিপ্রেসেন্টেটিভ। এব্যাপারে মন্তব্য করতে গিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেছেন, তাঁদের (বিজেপি) সঙ্গে অনেকে যোগাযোগ করেছেন। ওই দলে (তৃণমূল) ভদ্রলোক কেউ থাকতে চাইছে না। বিজেপির থেকে জোর করে যাওয়া কিছু লোক ফিরে আসছে। লোকে দেখতে চাইছে পরিস্থিতি কোন দিকে যায়।