দলে এলেই টিকিট নয়, সিদ্ধান্ত অমিতদের, সেজন্যই কী সাবধানী রাজীব, কী বললেন দিলীপ
দলে এলেই টিকিট নয়, সিদ্ধান্ত অমিতদের, সেজন্যই কী সাবধানী রাজীব, কী বললেন দিলীপ
দলে এলেই টিকিট নয়। বঙ্গের গেরুয়া শিবিরের ভাবমূর্তি বজায় রাখতে এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে দিল্লির বিজেপি নেতৃত্ব। বিশেষ করে দলে দলে তৃণমূল নেতাদের সামিল করার পর বিজেপির পুরনো নেতারা বিদ্রোহী হয়ে উঠতে শুরু করেছেন আগাম আঁচ পেয়েই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে অমিত শাহরা। সেকারণেই হয়তো রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ফেসবুক লাইভে তাঁর বিজেপিতে যোগ দান বা তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়ার বিষয়টিতে ধোঁয়াশা রেখে দিয়েছেন। যদিও বিজেপি রাজ্য সভাপতি প্রকাশ্যেই তাঁকে স্বাগত জানিয়েছেন।
বঙ্গে যোগদানে কড়া হচ্ছে বিজেপি
দলে দলে অন্য দল থেকে রাজনৈতিক নেতা কর্মীরা বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন। তারমধ্যে সিংহভাগই যে বিধানসভা ভোটের টিকিটের লোভে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। বিজেপিও যে পদের প্রলোভন দিয়ে তাঁদের আনছে না সেই জল্পনাও একেবারেই ভুল বলা যায় না। একুশের ভোটের আগে দলের ভাবমূর্তি বজায় রাখতে এবার একটু করে কড়া হতে শুরু করেছেন অমিত শাহ। মুকুল-দিলীপকে দিল্লিতে ডেকে অমিত শাহ-জেপি নাড্ডারা স্পষ্ট করে দিয়েছেন বিজেপিতে যোগ দিলেই টিকিট পাওয়া যাবে এমন হবে না। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য কয়েকদিন আগেই সৌমিত্র খাঁর স্ত্রী সুজাতা খাঁ তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়ে দাবি করেছিলেন বিজেপিতে ৬ জন মুখ্যমন্ত্রী পদে এবং ১৩ জন উপমুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য লাইন দিয়ে রয়েছে।
সাবধানী রাজীব
বিজেপিতে
গেলেই
যে
সেই
গুরুত্ব
মিলবে
এই
নিয়ে
সন্দিহান
রাজীব
বন্দ্যোপাধ্যায়।
সেকারণেই
ফেসবুক
লাইভে
কৌশলে
নিজের
বক্তব্য
রেখেছেন।
দলের
একাধিক
সিদ্ধান্ত
এবং
অবস্থান
নিয়ে
বিরোধিতা
করলেই
দল
ছাড়ার
কথা
একবারও
বলেননি।
বা
নেত্রীর
সিদ্ধান্তের
বিরুদ্ধে
একটাও
কথা
বলেননি।
একেবারেই
সুকৌশলে
নিজের
ভবিষ্যৎ
পরিকল্পনা
নিয়ে
ধোঁয়াশা
তৈরি
করে
রেখে
গিয়েছেন।
একই
সঙ্গে
আবার
বিজেপিতে
যাওয়ার
রাস্তাও
খোলা
রেখেছেন
তিনি
দিলীপের আহ্বান
কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে সাবধানী হওয়ার বার্তা পেলেও দিলীপরা কিন্তু প্রকাশ্যে সেটা বুঝতে দিতে নারাজ। তাই রাজীবের ফেসবুক লাইভের পরেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেছেন, তৃণমূলে থেকে কেউ কাজ করতে পারবে না। যদি কেউ কাজ করতে চান তাহলে বিজেপিতে চলে আসুন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এদিন ফেসবুক লাইভে রাজীব দাবি করেছিলেন তিনি কাজ করতে পারছেন না। এমনকী শতাব্দী রায়ও আগে একই অভিযোগ করেছিলেন।
তৃণমূল থেকে বিজেপিতে কারা
একুশের ভোটের আগে তৃণমূল থেকে যে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য সাংসদ-বিধায়করা লাইন দিয়ে আছেন দাবি করেছেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। তিনি নাম করে বলেছেন, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, শতাব্দী রায়, অপরূপা পোদ্দার, প্রসূণ বন্দ্যোপাধ্যায় এঁরা সব বিজেপিতে যোহ দেওয়ার জন্য লাইন দিয়ে পরেছেন। শতাব্দীর বিজেপিতে যোগ তো ২ থেকে ৪ দিনের অপেক্ষা বলে দাবি করেছেন সৌমিত্র খাঁ।