কম্যান্ড হাসপাতালেই হল অর্জুনের ময়নাতদন্ত, নির্দেশ মেনে পরিবারকে নিরাপত্তা দিল পুলিশ
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে কমান্ড হাসপাতালে শেষ হল বিজেপি নেতা অর্জুনের ময়নাতদন্ত। যদিও সকাল থেকে এহেন ময়নাতদন্ত করা নিয়ে নানা জটিলতা সামনে আসে। যদিও সেই জটিলতা কাটিয়ে অবশেষে ময়নাতদন্ত শেষ হল সেনা হাসপাতালে। নির্দেশ মেনেই গোটা প্রক্রিয়াটাই ভিডিওগ্রাফি করা হয়েছে বলে খবর।
শুধু তাই নয়, নির্দেশ মেনে সমস্ত কাজই করা হয়েছে বলে খবর। তবে এখনই ময়নাতদন্তের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট আসবে না বলে জানা যাচ্ছে। তবে রিপোর্ট কি আসবে সেদিকেই নজর সবার।

বাইক মিছিল করে অর্জুনের দেহ বিজেপি দফতরে নিয়ে যাওয়া হয়
অন্যদিকে মৃত অর্জুনের দেহ বিজেপি দফতরে নিয়ে যাওয়ার তোড়জোর শুরু হচ্ছে বলে খবর। মূলত ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাওয়ার পরেই দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। কিন্তু এখানে আলিপুর কমান্ড হাসপাতাল থেকে দেহ আরজিকরে নিয়ে যাওয়া হয়। আর এরপরেই তা পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। আর এরপরেই বাইক মিছিল করে অর্জুনের দেহ বিজেপি দফতরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে শ্রদ্ধা জানিয়েই দেহ পরিবারের হাতে হস্তান্তর করা হবে বলে খবর।

ঘটনাস্থলে পৌঁছল পুলিশ।
অন্যদিকে ঘটনার ২৪ ঘন্টা পর ঘটনাস্থলে পৌঁছল পুলিশ। তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে গিয়েছেন তদন্তকারীরা। শুধু তাই নয়, লালবাজারের গুন্ডাদমন শাখার আধিকারিকরাও গিয়েছেন ঘটনাস্থলে। যা নিয়ে একটা বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তবে পুরো এলাকা কড়া নিরাপত্তার মোড়কে মুড়ে ফেলা হয়েছে। অন্যদিকে শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের তরফে পরিবারকে নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই মতো আজ পরিবারের নিরাপত্তাও কার্যকর করেছে পুলিশ। এছাড়াও ওই ঘটনাস্থলে সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। ক্যামেরা লাগানো হয়েছে অর্জুনের বাড়িতেও।

শুরু রাজনৈতিক বিতর্ক
অন্যদিকে অর্জুনের মৃত্যুর প্রায় ২৪ ঘন্টা কেটে গিয়েছে। কিন্তু এখনও রাজনৈতিক তরজা চলছে। বিশেষ করে ময়নাতদন্ত নিয়ে তৃণমূল বিজেপির মধ্যে শুরু হয়েছে জোর তরজা। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের দাবি, কম্যান্ড হাসপাতাল থেকে রিপোর্ট ঠিকঠাক আসবে একেবারে। এটা আমাদের বিশ্বাস। তবে রিপোর্ট সঠিক হবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তাঁর দাবি, অমিত শাহ বলে গিয়েছেন রাজনৈতিক মৃত্যু। কীভাবে অফিসার অন্যকিছু লিখবেন? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যের মন্ত্রী।

ঘটনায় শোকের ছায়া এলাকায়
শুক্রবার সকালে বিজেপি নেতা অর্জুনের দেহ উদ্ধার হয় কাশীপুরের একটি পরিক্তত্য ঘরে। আর এরপর থেকেই ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানোতর। ইতিমধ্যে ঘটনাকে বিজেপির তরফে রাজনৈতিক খুন বলে দাবি করা হয়েছে।