একুশে জুলাই মমতার মঞ্চে বিজেপি নেতা! আরও বড় চমকের অপেক্ষায় তৃণমূল কংগ্রেস
প্রতিবারই জল্পনা থাকে, কারা যোগ দিচ্ছেন তৃণমূলে? কংগ্রেস ছেড়ে ক’জন আসছেন তৃণমূলে মঞ্চে? এবার সেই জল্পনা ছাড়িয়ে বড় চর্চা বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ চন্দন সেনকে নিয়ে।
এবার একুশের জুলাইয়ের মঞ্চে সবথেকে বড় চমক কী! বারবার সেই প্রশ্নটাই উঠে আসছে ধর্মতলায় তৃণমূলের শহিদ দিবস পালনের প্রাক্কালে। প্রতিবারই জল্পনা থাকে, কারা যোগ দিচ্ছেন তৃণমূলে? কংগ্রেস ছেড়ে ক'জন আসছেন তৃণমূলে মঞ্চে? এবার সেই জল্পনা ছাড়িয়ে বড় চর্চা বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ চন্দন সেনকে নিয়ে।
চন্দন সেন সম্প্রতি বিজেপি ছেড়েছেন বলে সর্বভারতীয় এক সংবাদপত্রের খবরে প্রকাশ। তারপরই জল্পনা শুরু হয়, তবে কি ২১ জুলাইয়ে তৃণমূলের মঞ্চে দেখা যাবে চন্দন সেনকে, তা নিয়েই জোর চর্চা চলছে। এর আগে কংগ্রেসের বিধায়কদের নিয়ে জল্পনা চলছিল। এমনকী কংগ্রেস বিধায়করা আমন্ত্রিত হিসেবে উপস্থিত থাকতে পারেন, এমন কথাও শোনা যাচ্ছিল।
তারপর জল্পনার মাত্রায় যুক্ত হয়েছিলেন সিপিএমের দুই প্রাক্তন সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় ও মইনুল হাসান। প্রথমজনকে সরকারি কমিটিতে ইতিমধ্যেই স্থান করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর দ্বিতীয় জন সিপিএমের বিরুদ্ধে তোপ দেগে তৃণমূলের পক্ষে সওয়াল করেছেন। এবার সেই তালিকায় নবতম সংযোজন বিজেপির হেভিওয়েট সাংসদ চন্দন মিত্র।
সম্প্রতি খবরে প্রকাশ চন্দন মিত্র বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন। তবে সেই পদত্যাগপত্র অমিত শাহ সরকারিভাবে গ্রহণ করেননি বলে জানা গিয়েছে। চন্দনবাবুও এই বিষয়ে এখন মুখ খুপলতে নারাজ। তিনি বলেছেন যা বলার সোমবারের পর বলবেন। তার আগে শনিবার ২১ জুলাই তৃণমূলের শহিদ সমাবেশ হয়ে যাবে। তিনি যদি সত্যিই তৃণমূলে যোগ দেন, তা স্পষ্ট হয়ে যাবে।
এর আগে দু'দফায় রাজ্যসভার সাংসদ হয়েছিলেন চন্দন মিত্র। প্রথমবার ২০০৩ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি মনোনীত রাজ্যসভার সাংসদ ছিলেন। পরেরবার ২০১০ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত মধ্যপ্রদেশের থেকে বিজেপির টিকিটে নির্বাচিত হয়েছিলেন চন্দন মিত্র। তিনি লোকসভায় বিজেপির টিকিটেও পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। ছিলেন রাজ্য বিজেপির পর্যবেক্ষকও।
একটা সময়ে তাঁর নাম রাজ্য বিজেপির সভাপতি হিসেবে উঠে এসেছিল। সাংবাদিক থেকে রাজনীতিক হয়ে ওঠা চন্দন মিত্র লালকৃষ্ণ আদবানির ঘনিষ্ঠ ছিলেন বলেই নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহদের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব তৈরি হয় বলে জানা গিয়েছে। সেই কারণেই তাঁর দলত্যাগে শুরু হয়ে নানা জল্পনা।
এরপর সত্যিই যদি তাঁকে একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে দেখা যায়, তা হবে বিজেপির কাছে একটা বড় ধাক্কা। মুকুল রায় তৃণমূল ছাড়ার পর কোনও হেভিওয়েট নেতাকে বিজেপিতে নিয়ে যেতে পারেননি। কিন্তু বিজেপির একাধিক নেতা তৃণমূলে এসেছেন। তারপর চন্দন মিত্রের মতো হেভিওয়েট সাংসদ যদি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে আসেন, তা বিজেপির কাছে চরম আঘাত হবে।
[আরও পড়ুন:বিজেপিতে বড় ভাঙন, দল ছাড়তে চলেছেন দু'বারের সাংসদ! লোকসভার আগে জোর ধাক্কা]