হাত কেটে নেব! বিজেপির ‘বড়’ নেতাকে হুমকি মুকুল ঘনিষ্ঠের, একইসঙ্গে ধন্দ ও দ্বন্দ্ব
বিজেপিতে গিয়েও বিতর্ক পিছু ছাড়ল না। আবারও দলের নেতাকে হুমকি দিয়ে বিতর্ক বাড়ালেন বিজেপি নেতা আনিসুর রহমান। তৃণমূল ছেড়ে মুকুল রায়ের হাত ধরে তিনি যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে।
বিজেপিতে গিয়েও বিতর্ক পিছু ছাড়ল না। আবারও দলের নেতাকে হুমকি দিয়ে বিতর্ক বাড়ালেন বিজেপি নেতা আনিসুর রহমান। তৃণমূল ছেড়ে মুকুল রায়ের হাত ধরে তিনি যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। তারপরই গ্রেফতার হয়েছিলেন আনিসুর। সদ্য জামিনে মুক্ত হয়েও বিতর্ক থেকে দূরে থাকতে পারলেন না। এবার বিজেপি নেতারই হাত কেটে নেওয়া হুমকি দিলেন।
সম্প্রতি একটি অডিও ক্লিপিংস সামনে এসেছে। ওই ক্লিপিংস যদিও পরিক্ষিত নয়। ওই অডিও ক্লিপিংসেই শোনা যাচ্ছে আনিসুর রহমানের হুমকি। তারই পরিপ্রেক্ষিতে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে বিজেপি নেতার চাঞ্চল্যকর এই হুমকির খবর। স্পষ্ট ভাষায় আনিসুরের কণ্ঠ সেখানে হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ।
ফোন এক প্রান্তের কণ্ঠের হুমকি, তোর জেলা সভাপতিকে বলে দিবি, আমার সঙ্গে অমিত শাহ, মুকুল রায়, দিলীপ ঘোষের কথা হয়। এত বড় ক্ষমতা তোকে কে দিয়েছে। তোর সভাপতি দরকার থাকলে আমাকে ফোন করতে পারেনি? বেশি বাড়াবাড়ি করিস না। প্রয়োজনে তুলে এনে চামড়া ছাড়িয়ে দেব। সাবধান হয়ে যা। একসঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ কর। ঘাটাল লোকসভা আমারা কেন্দ্র, হাত দিলে কেটে দেব।
যদিও আনিসুর এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, আমি এখন দিল্লিতে আছি। আমি কাউকে কোনও হুমকি দিইনি। অভিযোগ, আনিসুর রহমান ফোনে পাঁশকুড়ার পুরুষোত্তমপুর মণ্ডলের সভাপতি অঞ্জন মাইতিকে হুমকি দেন। জেলা সভাপতি প্রদীপ দাসকে উদ্দেশ্য করেও হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
অভিযোগ, এই ফোনের হুমকি কথোপকোথনে আনিসুর এমনও বলেন, বিজেপি করছিস না চাটুকারিতা করঠছিল। কার সঙ্গে কী করছিস, সব আমি জানি। বিজেপি করা ছাড়িয়ে দেব। খুব বড় নেতা হয়ে গেছিস না। অপদার্থ বলেও হুমকি দেওয়া হয় মণ্ডল সভাপতিকে। জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে উষ্মা প্রকাশ করা হয়।
[আরও পড়ুন: মমতার 'সৈনিকে'র বুকে আগুন জ্বলছে, বদল ছেড়ে বদলার বাণী মদন-ভাষ্যে, দেখুন ভিডিও ]
একটি ফ্লেক্স লাগানোকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে আসে বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্ব। আনিসুর রহমানের অনুগামী শঙ্কর ভুইঞা একটি ফ্লেক্স লাগানে পাঁশকুড়ার পুরুষোত্তমপুর বটতলা বাসস্ট্যান্ডের কাছে। ওই ফ্লেক্সে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সভাপতির ছবি থাকলেও, ছিল না জেলা সভাপতির ছবি। তাই ফ্লেক্সটি খুলে নিতে বলা হয়। পুরুষোত্তমপুর মণ্ডল সভাপতি অঞ্জন মাইতি এই নির্দেশ দেন। তারপরই বিতর্ক দানা বাঁধে। এরপরই ফোনে হুমকি পান বলে অভিযোগ।
[আরও পড়ুন: 'বিজেপির সব খেলা শেষ হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে, তিনিই জোটের পথপ্রদর্শক']
[আরও পড়ুন: এক রাতে ৩ গোখরো মারার ভিডিও মুহূর্তে ভাইরাল, শেষমেশ যে হাল হল বীরপুরুষের]