মমতাকে চ্যালেঞ্জ জানাতে গিয়ে বিপাকে বিজেপি! বঙ্গ বিজেপিকে সময় দিচ্ছেন না মোদী
তৃণমূলের সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে নরেন্দ্র মোদীর সভার দিনক্ষণ নিয়ে সমস্যা প্রবল রূপ নিল। বিজেপি যে আগাম দিনক্ষণ ঘোষণা করে দিয়ে বালখিল্য করেছিল, তা প্রমাণিত।
তৃণমূলের সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে নরেন্দ্র মোদীর সভার দিনক্ষণ নিয়ে সমস্যা প্রবল রূপ নিল। বিজেপি যে আগাম দিনক্ষণ ঘোষণা করে দিয়ে বালখিল্য করেছিল, তা প্রমাণিত মোদীর ব্রিগেড সমাবেশের দিন বিজেপি বারবার পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়ায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ জানাতে গিয়ে ব্রিগেড নিয়ে ঘোর বিপাকে বিজেপি।
একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের ব্রিগেড ঘোষণা করেছিলেন। ঘোষণা করেছিলেন ব্রিগেডে সোনিয়া গান্ধী-সহ দেশের তাবড় নেতা-নেত্রীদের তিনি হাজির করবেন। তার অদ্যাবধি পরেই বিজেপির তরফে কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা পাল্টা ব্রিগেডের ডাক দিয়েছিলেন।
কিন্তু সেই ব্রিগেডে ডাক যে ফোঁপরা ঢেকির আওয়াজ, তা প্রমাণ হয়ে গেল এক মাসের মধ্যেই। ২৩ জানুয়ারি নরেন্দ্র মোদীর ব্রিগেড সমাবেশের কথা ঘোষণা করেছিলেন রাহুল সিনহা। কিন্তু সেই পরিকল্পনায় জোর ধাক্কা খেল বিজেপি। প্রধানমন্ত্রীর দফতর সবুজ সংকেত দিল না ২৩ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভার।
এর ফলে মুখ পুড়ল বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের। বিজেপি যে প্রধানমন্ত্রীর দফতরকে না জানিয়েই মোদীর ব্রিগেড সমাবেশ ঘোষণা করেছিল, তা প্রকট হয়ে গেল। এখন প্রধানমন্ত্রীর দফতরের অনুমোদন চাইতে গিয়ে বঙ্গ বিজেপি তা পেল না। সেই কারণে মোদীর সভা এগিয়ে আনার চেষ্টা করা হয়। সেখানেও ধাক্কা। কবে হবে মোদী সভা, তা এখন অকুল পাথারে।
মোদীর ব্রিগেড সমাবেশের জন্য এখনও নির্দিষ্ট দিন জানাতে পারল না বিজেপি। তবে ২৯ জানুয়ারি থেকে ৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ব্রিগেড সমাবেশ করতে প্রধানমন্ত্রীর দফতরকে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানান বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রীর সময় পাওয়া যাচ্ছে না। ২৯ জানুয়ারি থেকে ৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সময় চাওয়া হয়েছে। তবে রথযাত্রার সূচিতে কোনও পরিবর্তন আনা হচ্ছে না।
[আরও পড়ুন:মোদীর ব্রিগেড সমাবেশ পিছিয়ে যাচ্ছে! সম্ভাব্য দিন জানিয়ে প্রতীক্ষায় বঙ্গ বিজেপি]