মমতার নিজের ও মন্ত্রীদের ওয়ার্ডে পিছিয়ে তৃণমূল! এবার মিনি মহাকরণ টার্গেট বিজেপির
কলকাতায় ১৪৪টির মধ্যে ৫১ টি ওয়ার্ডে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। ৯০ টি ওয়ার্ডে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল। বাম ও কংগ্রেস এগিয়ে রয়েছে ৩ টি ওয়ার্ডে।
শুধু লোকসভার ফলাফল কিংবা লোকসভার নিরিখে বিধানসভার ফলাফলেই নয়, লোকসভার নিরিখে কলকাতা পুরসভা এলাকার ফলাফল বিচার করলে দেখা যাচ্ছে ১৪৪টির মধ্যে ৫১ টি ওয়ার্ডে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। ৯০ টি ওয়ার্ডে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল। বাম ও কংগ্রেস এগিয়ে রয়েছে ৩ টি ওয়ার্ডে। অনেক প্রভাবশালী মেয়র পারিষদের ওয়ার্ডে পিছিয়ে রয়েছে তৃণমূল।
মধ্যে
মাত্র
একটি
বছর।
তারপরেই
রাজ্যের
বিভিন্ন
পুরসভার
সঙ্গে
কলকাতা
পুরসভারও
নির্বাচন।
২০১৯-এর
লোকসভার
ফলাফল
বিচার
করলে
বলাই
যায়,
এসএন
ব্যানার্জি
রোডের
লালবাড়ির
দখলের
লড়াই
হতে
চলেছে
তৃণমূল
ও
বিজেপির
মধ্যেই।
২০০০
সালে
যে
তৃণমূল
ও
বিজেপি
একসঙ্গে
লড়াই
করে
এই
পুরসভার
দখল
নিয়েছিল।
মেয়র
হয়েছিলেন
সুব্রত
মুখোপাধ্যায়
আর
ডেপুটি
মেয়র
ছিলেন
বিজেপির
মীনাদেবী
পুরোহিত।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওয়ার্ডে পিছিয়ে তৃণমূল
ফলাফল বিচার করলে দেখা যাচ্ছে দক্ষিণ কলকাতার ২৬ টি এবং উত্তর কলকাতায় ২৫ টি ওয়ার্ডে পিছিয়ে পড়েছে তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজের বাড়ি যে ওয়ার্ডে, সেই ওয়ার্ড অর্থাৎ ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডে ২০১৪ সালের মতোই পিছিয়ে পড়েছে তৃণমূল। ব্যবধান ৪৯৬ ভোটের।
অরূপ বিশ্বাসের ওয়ার্ডে পিছিয়ে তৃণমূল
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যতম কাছের টালিগঞ্জের বিধায়ক তথা রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস যে ওয়ার্ডের বাসিন্দা, সেই ৮১ নম্বর ওয়ার্ড থেকেও পিছিয়ে তৃণমূল। রাজ্যের মন্ত্রীর হওয়ার আগে দুবারের বেশি এই ওয়ার্ড থেকেই নির্বাচিত হয়েছিলেন অরূপ বিশ্বাস। এখন ওই ওয়ার্ডে কাউন্সিলর অরূপ বিশ্বাসের ভাই স্বরূপ বিশ্বাসের স্ত্রী জুঁই বিশ্বাস।
ধাক্কা মেয়রের ওয়ার্ডেও
মাস ছয়েক আগে মেয়র পদে নির্বাচিত হওয়ার পর চেতলার ৮২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রায় ১৪ হাজার ভোটে জয়ী হয়েছিলেন ফিরহাদ হাকিম। কিন্তু এবারের লোকসভা নির্বাচনে এই ওয়ার্ডে মালা রায় এগিয়ে ছিলেন কেবলমাত্র ১১০০ ভোটে।
যেসব মেয়র পারিষদ ও বরো চেয়ারপার্সনরা পিছিয়ে
কমপক্ষে
পাঁচ
মেয়র
পারিষদের
ওয়ার্ডে
পিছিয়ে
পড়েছে
তৃণমূল।
এই
মেয়র
পারিষদরা
হলেন,
৮৫
নম্বর
ওয়ার্ডে
দেবাশিস
কুমার,
৯৩
নম্বর
ওয়ার্ডে
রতন
দে,
১১৮
নম্বর
ওয়ার্ডে
তারক
সিং,
৫৮
নম্বর
ওয়ার্ডে
স্বপন
সমাদ্দার,
৭৯
নম্বর
ওয়ার্ডে
রাম
প্যারে
রাম।
উত্তর
ও
দক্ষিণ
কলকাতা
মিলিয়ে
কমপক্ষে
৩
বরো
চেয়ারম্যান
পিছিয়ে
পড়েছেন
লোকসভা
ভোটের
ফলাফলের
নিরিখে।
তাঁরা
হলেন,
সন্দীপ
বক্সি,
রতন
মালাকার
এবং
সুশান্ত
ঘোষ।
যেসব বিধানসভা কেন্দ্রে পিছিয়ে তৃণমূল
দক্ষিণ
কলকাতা
কেন্দ্রে
মধ্যে
থাকা
ভবাণীপুর
এবং
রাসবিহারী
বিধানসভা
আসনের
মধ্যে
থাকা
বেশিরভাগ
ওয়ার্ড
থেকেই
পিছিয়ে
পড়েছে
তৃণমূল
কংগ্রেস।
রাসবিহারী
থেকে
৫৪৪৬
ভোটে
বিজেপি
চন্দ্র
বোসের
থেকে
পিছিয়ে
ছিলেন
তৃণমূলের
মালা
রায়।
প্রসঙ্গত
১৯৯৮-এর
উপনির্বাচনে
জয়ের
পর
থেকে
রাসবিহারী
কেন্দ্রে
টানা
জিতে
আসছেন
রাজ্যের
বিদ্যুৎমন্ত্রী
শোভনদেব
চট্টোপাধ্যায়।
অন্যদিকে
উত্তর
কলকাতায়
জোড়াসাঁকো
কেন্দ্রের
১১
টি
ওয়ার্ডের
মধ্যে
৮
টিতে
পিছিয়ে
তৃণমূল।
এছাড়াও
এন্টালির
দুটি
এবং
মানিকতলা
ও
শ্যামপুকুরের
পাঁচটি
করে
ওয়ার্ডে
পিছিয়ে
রয়েছে
তৃণমূল।
জোড়াসাঁকোর
বিধায়ক
স্মিতা
বক্সি
নিজের
ওয়ার্ডে
পিছিয়ে
পড়েছেন।
'ভয়ে' রয়েছেন তৃণমূল কাউন্সিলররা
সূত্রের খবর অনুযায়ী, বিজেপি যে তাদের শক্তি বাড়াচ্ছে ভবানীপুর, বড়বাজার এবং জোড়াসাঁকোতে তা জানত তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক এক তৃণমূল কাউন্সিলর জানিয়েছেন, তাঁরা জোরদার প্রচার চালিয়েছিলেন। কেননা তাঁদের আগেই বলে দেওয়া হয়েছিল, যদি ওয়ার্ডে এগিয়ে থাকতে না পারে তৃণমূল, তাহলে পরের বারের টিকিট পাবেন না তাঁরা। এইসব এলাকায় তৃণমূলের পুরনো মেশিনারি কাজ করেনি। কেননা অনেক কাউন্সিলরকেই প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার মুখে পড়তে হয়েছে।
বামেরা এগিয়ে যেসব ওয়ার্ডে
যাদবপুরে সাতটি ওয়ার্ড থেকে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল। চারটিতে রয়েছে পিছিয়ে। যার মধ্যে বামেরা এগিয়ে রয়েছে ৯৯, ১০২ এবং ১০৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে। ২০১৬-তে এই ওয়ার্ড থেকেই সিপিএম-এর সুজন চক্রবর্তীর কাছে পরাজিত হয়েছিলেন প্রাক্তন আমলা তথা তৃণমূল প্রার্থী মনীশ গুপ্ত। ওই ভোটে ১০ টি ওয়ার্ডেই পিছিয়ে ছিল তৃণমূল।
২০১৫-র ফলাফল
২০১৫ সালে কলকাতা পুরসভার নির্বাচনে ১২৩ টি আসনে জয় পেয়েছিল তৃণমূল। বামেরা পেয়েছিল ১৩ টি আসন। কংগ্রেস পেয়েছিল ২ টি এবং বিজেপি পেয়েছিল ৫ টি আসন।