সারদা-কাণ্ডের আবহে দুই আসনে ভোট, উদ্বেগে তৃণমূল, আশায় বিজেপি
১৩ সেপ্টেম্বরের উপনির্বাচনে বিজেপি চৌরঙ্গি আসনে প্রার্থী করেছে রীতেশ তিওয়ারিকে। আর বসিরহাট দক্ষিণে তাদের প্রার্থী শমীক ভট্টাচার্য। দু'টি আসন ঘিরেই আশায় বুক বেঁধেছে বিজেপি।
বসিরহাট দক্ষিণ বিধানসভা আসনটি বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। লোকসভা ভোটে বসিরহাট আসনে তৃণমূল কংগ্রেস জিতলেও ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, বসিরহাট দক্ষিণ বিধানসভায় বিজেপির শমীক ভট্টাচার্য ৩০ হাজারেরও বেশি ভোটে এগিয়েছিলেন। এখানে পাত্তাই করতে পারেনি শাসক দল। এটা যেমন আশার কথা, তেমনই সারদা-কাণ্ডের তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই জড়িয়ে পড়ছেন তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশ। এমনকী কুণাল ঘোষ গত শনিবারই খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে আঙুল তুলেছেন। অর্থাৎ সারদা ইস্যু ভোটে একটা ফ্যাক্টর হচ্ছে। এটা কতটা ভোট কেটে নেবে তৃণমূলের থেকে, সেটাই চিন্তার।
অন্যদিকে, চৌরঙ্গি আসন নিয়ে প্রথমে কিছুটা সংশয় থাকলেও রবিবার বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ সভা করে যাওয়ার পর এখানে ভালো সাড়া পড়েছে। পাশাপাশি, সারদা ইস্যু তো রয়েছেই। এখানে অবশ্য ত্রিমুখী লড়াই হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেস, বিজেপি ও কংগ্রেস।
লক্ষণীয় বিষয়, দু'টির কোনওটিতে সিপিএম জিতবে, এমন স্বপ্ন অতি বড় দুঃসাহসীও দেখছেন না। এ জন্য মূলত সিপিএমের সাংগঠনিক দুর্বলতাকেই দায়ী করা হচ্ছে। সম্ভবত এটা বুঝেই মরিয়া হয়ে ঝাঁপায়নি সিপিএম।
তবে এই উপনির্বাচনে একটা 'যদি' ফ্যাক্টর রয়েছে। যদি নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে, তবেই স্বচ্ছ ভোট হবে আর জনমতের প্রকৃত প্রতিফলন ঘটবে। কারণ লোকসভা ভোটে নির্বাচন কমিশন অন্তত পশ্চিমবঙ্গে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করেছে, এটা বলা যায় না। তখন সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি এই মর্মে অভিযোগ শানালেও তাতে আমল দেয়নি ভোট কমিশন। এ বার তারই পুনরাবৃত্তি হয় কি না, সেটাই দেখতে হবে।
১৬ সেপ্টেম্বর এই দুই আসনের ফলাফল জানা যাবে।