মোদী-শাহকে অনুমতি দেবে রাজ্য, দিলীপদের রথযাত্রাকে নয়! ফ্যাক্স বার্তায় স্পষ্ট ইঙ্গিত
বিজেপিকে রথযাত্রার অনুমতি দিল না রাজ্য সরকার। নিরাপত্তার করাণেই রথযাত্রা বা গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রার ঝুঁকি নিতে চাইছে না প্রশাসন। এই রথযাত্রা হলে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে।
বিজেপিকে রথযাত্রার অনুমতি দিল না রাজ্য সরকার। নিরাপত্তার করাণেই রথযাত্রা বা গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রার ঝুঁকি নিতে চাইছে না প্রশাসন। এই রথযাত্রা হলে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে। বিজেপির রাজ্য দফতরে ফ্যাক্স করে সরকারের তরফে সাফ জানানো হয়, নরেন্দ্র মোদী বা অমিত শাহের সভার অনুমতি দেওয়া যেতে পারে, কিন্তু রথযাত্রার অনুমতি দেওয়া যাবে না।
হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান সূত্র বের করতে রাজ্য প্রশাসন ও বিজেপি নেতৃত্বের মধ্যে দফায় দফায় আলোচনা হয়। তবে সেই আলোচনার পর সমাধান সূত্র বের হল না। এদিন নবান্নে রাজ্য প্রশাসন দীর্ঘ আলোচনার পর ফ্যাক্স করে জানিয়ে দিল রথযাত্রার অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়।
রাজ্য প্রশাসন মনে করছে, রথযাত্রা হবে বিভিন্ন স্পর্শকাতর পথে। ফলে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে। তারপর রথযাত্রা চলবে ৪২ দিন ধরে। এতদিন ধরে কোনও কর্মসূচির জন্য রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে, সেই ঝুঁকি নেওয়া যাবে না। বিজেপির রথযাত্রার জন্য অন্তত পাঁচ হাজার পুলিশ লাগবে, তা মোতায়েন রাখাও সম্ভব নয় রাজ্যের পক্ষে।
প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, সামনেই বড়দিনের উৎসব রয়েছে ২৫ থেকে ৩১ ডিসেম্বর। রয়েছে গঙ্গাসাগর মেলা, আরও নানা অনুষ্ঠান রয়েছে, সেইসব সামলে রথযাত্রার অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়। এরপর বিজেপির তরফে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, রাজ্য প্রশাসনের সমালোচনা করে জানান, ফের একবার প্রমাণিত হল, রাজ্যে কোনও আইনশৃঙ্খলা নেই।
প্রশাসনের এই ফ্যাক্স বার্তা পেয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, রাজ্যে গণতন্ত্র নেই বলেই আমরা গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রার ডাক দিয়েছিলাম। আবার রাজ্য প্রশাসন প্রমাণ করে দিল, রাজ্যে গণতন্ত্র নেই। আমরা আমাদের সর্বভারতীয় সভাপতির সঙ্গে কথা বলেই এরপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব। রাজ্য আমাদের মানুষের দরজায় যাওয়া থেকে রুখতে পারবে না। আমাদের কাছে আদালতের দরজা খোলাই আছে। প্রয়োজনে আমরা সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত যাব।