চিটফাণ্ড-কাণ্ডে পুলিশ কমিশনারকেও জেরা করুক সিবিআইঃ কৈলাস বিজয়বর্গী
তৃণমূলের হয়ে কাজ করা বন্ধ করুন। সংবিধানে যা অধিকার দেওয়া আছে তা মেনে পুলিশ অফিসাররা কাজ করুন।
কলকাতা, ৪ জানুয়ারি : চিটফাণ্ড-কাণ্ডে জড়িত কলকাতা পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার। সারদা-কাণ্ডে তাঁর বিরুদ্ধেও সিবিআই তদন্ত হওয়া উচিত। কলকাতা রাজ্য দফতরে বসে এই ভাষাতেই কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে বিঁধলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তিনি অভিযোগ করেন, রাজীব কুমার তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীদের বাঁচাতে সারদার সমস্ত নথি পুড়িয়ে দিয়েছেন, লোপাট করে দিয়েছেন।[রোজভ্যালি কাণ্ডে সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়]
সেই কারনে দুর্নীতিগ্রস্ত এই পুলিশ কমিশনারের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের দাবি জানান। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় এই পর্যবেক্ষক জানান, রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং, রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় ও দিল্লিতে সিবিআইয়ের দফতরে লিখিত অভিযোগ জানানো হবে বলেও। তিনি পুলিশ কমিশনারকে একপ্রকার হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, তৃণমূলের হয়ে কাজ করা বন্ধ করুন। সংবিধানে যা অধিকার দেওয়া আছে তা মেনে পুলিশ অফিসাররা কাজ করুন।[(ছবি) সারদা-রোজভ্যালি চিটফান্ড কাণ্ডে গ্রেফতার তৃণমূলের যে বড় মাথারা!]
পাশাপাশি নোট বাতিলের প্রতিবাদে পথে নামাতেই তৃণমূল সাংসদের সিবিআই গ্রেফতার করছে বলে যে অভিযোগ করছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই উত্তরে কেন্দ্রীয় এই পর্যবেক্ষক বলেন, নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত গত প্রায় দুমাস আগে ঘোষণা করেছেন মোদী। তাঁর অনেক আগে থেকে রাজ্যে চিটফান্ডের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। সবথেকে বড় কথা, কংগ্রেস নেতা আবদুল মান্নান চিটফান্ডের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত দাবি করেছে।[সারদাতেও নাম জড়াল সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের, মিডল্যান্ড পার্কের অফিসে বৈঠক]
কংগ্রেস সহ সভাপতি রাহুল গান্ধী বিধানসভা নির্বাচনের আগে চিটফান্ড কেলেঙ্কারি নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ করেছেন। এদিকে, দোষীরা গ্রেপ্তার হওয়ার পর কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হচ্ছে বিজেপিকে। কিন্তু কখনই বিজেপি এর পিছনে নেই বলে দাবি করেন কৈলাস। তাঁর মতে চিটফাণ্ড-কাণ্ডে সিবিআইয়ের হাতে পর্যাপ্ত প্রমাণ আসার পরেই তৃণমূলের দুই সাংসদকে সিবিআই গ্রেফতার করেছে।[সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রেফতারের পরেই রাজ্যজুড়ে আক্রান্ত বিজেপি]
অন্যদিকে, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রেফতারের প্রতিবাদে তৃণমূলের বিজেপি দফতরে হামলার তীব্র ভাষায় নিন্দা করেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। একই সঙ্গে কড়া ভাষায় তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। তিনি বলেন, তৃণমূল কর্মীরা বিজেপি অফিসে হামলা চালিয়েছেন। তবে মনে রাখা প্রয়োজন তৃণমূল একটা আঞ্চলিক দল। কিন্তু বিজেপি জাতীয় দল।
হিংসা শুরু করলে, গোটা দেশে তৃণমূল নেত্রী ঘুরতে পারবেন না। এমনকি, দিল্লিতে একজন সাংসদকেও ধরনায় বসতে দেব না বলে হুঁশিয়ারি দেন কেন্দ্রীয়স্তরের এই নেতা। মুখ্যমন্ত্রীকে হুঁশিয়ারি দিলেও তাঁর কাছে বিজেপি নেতারা আবেদন রাখেন যে বিজেপি সবসময় গণতন্ত্রের পক্ষে। এসব কখনই যে ঘটুক তা দল কখনই চায় না। আপনি বর্ষীয়ান নেত্রী। দয়া করে, গণতন্ত্রকে নষ্ট না করার আবেদন করেন কৈলাসবাবু।