তবে কি হাল ছেড়ে দিল বিজেপি! বাংলার ভোট নিয়ে মোদী-শাহদের প্রবল ‘অনীহা’
অন্তত তিনবার বাংলায় আসার কথা হয়েছিল অমিত শাহের। পঞ্চায়েত ভোটের প্রাক্কালে বঙ্গ বিজেপির পালে হাওয়া বইয়ে দিতে কত না পরিকল্পনা হয়েছিল।
অন্তত তিনবার বাংলায় আসার কথা হয়েছিল অমিত শাহের। পঞ্চায়েত ভোটের প্রাক্কালে বঙ্গ বিজেপির পালে হাওয়া বইয়ে দিতে কত না পরিকল্পনা হয়েছিল। কিন্তু একটা পরিকল্পনাও বাস্তবায়িত হয়নি। নিজে তো এলেনই না, এখন অন্য হেভিওয়েট নেতাদেরও বাংলায় না পাঠানোর কথা জানিয়ে দেওয়া হল বিজেপির তরফ থেকে। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব চাইছে না পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে কোনও তারকা নেতা যাক বাংলায়।
কিন্তু কেন এমন সিদ্ধান্ত বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের? কেন হাল ছেড়ে দিচ্ছেন নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহরা? তাঁরা কি বঙ্গ বিজেপির নেতাদের দৌড় বুঝে গেলেন? নাকি মমতার দিল্লি সফরের ফল বিজেপির এই রণে ভঙ্গ দেওয়া? তা নিয়েই জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। পঞ্চায়েত ভোটে বঙ্গ-বিজেপির টার্গেট ফিক্সড করে দেওয়া। তারপর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তারকা প্রচারকদের না পাঠানোকে কেন্দ্র করে জল্পনা চলছে সর্বত্রই।
কেন্দ্রীয় বিজেপির পক্ষ থেকে রাজ্য বিজেপিকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বাংলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতারাই এবার প্রচার করবেন পঞ্চায়েত ভোটের। তারকা প্রচারকরা আসবেন লোকসভা ভোটের আগে। পঞ্চায়েতে যে ভালো ফল সম্ভব নয়, তা বুঝে গিয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তাই এমন সিদ্ধান্ত বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
বঙ্গ বিজেপির পক্ষ থেকে পঞ্চায়েত ভোট প্রচারের জন্য স্মৃতি ইরানি, শাহনওয়াজ হোসেনের মতো নেতাদের চাওয়া হয়েছিল। চাওয়া হয়েছিল ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকেও। পরিবর্তনের ওই মুখকে তারা বাংলায় ব্যবহার করতে চেয়েছিল। মক্কা মসজিদ বিস্ফোরণ-কাণ্ডে অসীমানন্দকেও চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু বঙ্গ বিজেপির সেই দাবি খারিজ করে দিয়েছেন অমিত শাহ।
বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা সুরেশ পুজারি জানিয়ে দিয়েছেন, পঞ্চায়েত ভোট বঙ্গ-নেতৃত্বকেই সামলাতে হবে। এই নির্দেশ সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের। এই নির্দেশের ফলে পরিষ্কার, কেন্দ্রীয় বিজেপির মূল লক্ষ্য লোকসভা ভোট। ২০১৯-কেই পাখির চোখ করতে চাইছে তারা। তাই আপাতত বাংলার বিজেপি নেতারা ছাড়া কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, সুরেশ পূজারি, শিবপ্রকাশদের উপরই ভরসা রাখতে হবে প্রচারের জন্য।