দল ভাঙিয়েও হার মানতে হল তৃণমূলকে! কংগ্রেসকে সমর্থনের হাত বিজেপি-সিপিএমের
ফের তৃণমূলকে আটকাতে মহাজোট। মহাজোট গড়ে তৃণমূলকে টেক্কা দিল কংগ্রেস, বিজেপি ও সিপিএম। ডুয়ার্সের বিন্নাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতে কংগ্রেসকেই সমর্থন করল বিজেপি ও সিপিএম।
ফের তৃণমূলকে আটকাতে মহাজোট। মহাজোট গড়ে তৃণমূলকে টেক্কা দিল কংগ্রেস, বিজেপি ও সিপিএম। ডুয়ার্সের বিন্নাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতে কংগ্রেসকেই সমর্থন করল বিজেপি ও সিপিএম। ফলে দল ভাঙিয়েও লাভ হল না, হার মানতে হল তৃণমূল কংগ্রেসকে। তৃণমূলের বোর্ড গঠনের স্বপ্ন অধরাই রয়ে গেল ত্রিশঙ্কু বিন্নাগুড়িতে।
ডুয়ার্সের বিন্নাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট ২৩টি আসন। ২৩টির মধ্যে তৃণমূল পায় ৬টি আসন, বিজেপি পায় ৭টি, কংগ্রেস ৯টি ও সিপিএম পায় ১টি আসন। মে মাসে ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর কংগ্রেস ছেড়ে চার জন সদস্য যোগ দেন তৃণমূলে। ফলে তৃণমূল বেড়ে হয় ১০। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে তৃণমূলের ২টি ভোট কম ছিল।
[আরও পড়ুন:দিল্লির রাস্তায় নতুন হোর্ডিং! রাহুলকে জবাব অমিত শাহের দলীয় নেতার]
তৃণমূল ভেবেছিল বোর্ড গঠনের দিন তাঁরা মিরাকেল ঘটিয়ে দেবেন। কিন্তু উল্টে ম্যাজিক দেখিয়ে দিল বিরোধীরা। কংগ্রেসকে সমর্থন জানাল বিজেপি ও সিপিএম। ফলে বিরোধীদের ১৩ সদস্যের সম্মিলিত শক্তি বোর্ড গড়ল বিন্নাগুড়িতে। বিজেপি ও সিপিএমের সমর্থন নিয়ে বোর্ড গঠন করল কংগ্রেস। ২৩ সদস্যের পঞ্চায়েতে ১৩টি ভোট পেয়ে প্রধান ও উপপ্রধান হলেন যথাক্রমে দীপক শ্যাম ও পুনম ছেত্রী।
[আরও পড়ুন: ল কমিশনের রিপোর্ট! মোদীর 'একদেশ এক নির্বাচনে'র ইচ্ছায় 'ধাক্কা']
পঞ্চায়েত বোর্ড গড়ে কংগ্রেস নেতা বলরাম রায় বলেন, তৃণমূলের শাসন থেকে মানুষ মুক্তি চাইছে। মানুষের এই হাঁসফাঁস অবস্থা থেকে মুক্তি দিতে হবে। এদিন বিরোধীরা একজোট হয়েছে সেই জন্য। দল ভাঙিয়েও কোনও লাভ হল না তৃণমূলের। বিজেপি নেতা উমেশ যাদব বলেন, তৃণমূলকে আটকাতেই আমরা কংগ্রেসকে সমর্থন করলাম। সিপিএমেরও এক যুক্তি।
[আরও পড়ুন:কাননের 'প্রেম' নিয়ে হাটে হাড়ি ভাঙলেন! প্রেম না দল ও প্রশাসনিক কাজ, প্রশ্ন ক্ষুব্ধ মমতার]