১০০ শতাংশ কর্মসূচি সফল! নবান্ন অভিযানে আশঙ্কাজনক তিন কর্মী বলছে বিজেপি
১০০ শতাংশ কর্মসূচি সফল! নবান্ন অভিযানে আশঙ্কাজনক তিন কর্মী বলছে বিজেপি
বিজেপির মিছিল ঘিরে রণক্ষেত্র শহর এবং শহরতলি! পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি-বোতল ছোঁড়ার অভিযোগ। পালটা পুলিশের তরফে কাঁদানে গ্যাস এবং জল কামান ব্যবহারের অভিযোগ। এমনকি বেধড়ক লাঠিচার্জ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ বিজেপির। আর এই ঘটনায় অন্তত ৩৬৫ জন আহত হয়েছেন বলে জানাল বিজেপি। ঘটনার পরেই মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিজেপি পার্টি অফিসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং শমীক ভট্টাচার্য। তাঁদের দাবি, এই কর্মসূচি ১০০ শতাংশ সফল। বিজেপিকে শাসক দলকে ভয় পেতে হয়েছে বলেও দাবি দুই বিজেপি নেতার।
তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক
অন্যদিকে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যের দাবি, ঘটনায় পুলিশ ১২০০ এরও বেশি বিজেপি নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করেছে। এমনকি পুলিশের সঙ্গে খন্ডযুদ্ধে সাড়ে ৩০০-এর বেশি বিজেপি কর্মী আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ওই বিজেপি নেতা। যাদের মধ্যে ৩৫ জনেরও বেশি বিজেপি নেতাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলেও দাবি শমীক ভট্টাচার্যের। এমনকি তাঁদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেই বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে।
থানার বাইরে বিক্ষোভ
এমনকি এই মুহূর্তে সুকান্ত মজুমদার নিজে শিবপুর আদালতে রয়েছেন বলেও বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে। দুপুরে বিজেপি রাজ্য সভাপতিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। যদিও সন্ধ্যায় ছাড়া হয়। কিন্তু খবর আসে শিবপুর থানাতে একাধিক বিজেপি কর্মীকে আটক করে রাখা হয়েছে। আর এরপরেই সেখানে সুকান্ত মজুমদার পৌঁছে যান বলে জানা যাচ্ছে। আপাতত বিজেপি কর্মীদের না ছাড়া হলে সুকান্ত মজুমদার থানা ছাড়বেন বলে জানা যাচ্ছে। ইতিমধ্যে শিবপুর থানার বাইরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বিজেপি নেতারা।
আন্দোলন চলবে
অন্যদিকে বিজেপি নেতা-কর্মীদের উপর যেভাবে লাঠিচার্জ এবং টিয়ারগ্যাস ছোঁড়া হয়েছে ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন রাহুল সিনহা। একটা গণতান্ত্রিক কর্মসূচীতে এভাবে হামলা মানা যায় না বলেই দাবি তাঁর। শুধু তাই নয়, রাহুল সিনহার দাবি, পুলিশ আমাকেও মেরেছে। আমার হাতেও চোট লেগেছে। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তাঁর আসন থেকে উৎখাত করা না পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে দাবি বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা রাহুল সিনহার।
|
নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল বিজেপি
দুর্ণীতি সহ একাধিক ইস্যুতে রাজ্যে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু আসল উদ্দেশ্য ছিল পঞ্চায়েত ভোটের আগে শক্তি প্রদর্শন। আর তাতে সিংহভাগ সফল বঙ্গ বিজেপি। বিজেপি যে শাসক দল ধর্তব্যের মধ্যে রাখছে তা নবান্ন অভিযান আটকানোর এলাহি আয়োজনেই প্রমাণ করে দিয়েছে মমতা সরকার। এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
বিজেপির নেতৃত্বের কোন্দল প্রকাশ্যে, নবান্নর অভিযানের সমাপ্তি নিয়ে মতবিরোধ দিলীপ-সুকান্তর