মুকুলের মতো হাত 'পাকা' নয়! উপনির্বাচনের আগে পয়েন্ট কমল দিলীপ ঘোষের
নতুন দলে তিন মাস পূর্ণ হওয়ার আগেই পুরনোা দলে ফেরার তোড়জোড় শুরু করেছেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র তথা বর্তমানে বিজেপি নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়।
নতুন দলে তিন মাস পূর্ণ হওয়ার আগেই পুরনো দলে ফেরার তোড়জোড় শুরু করেছেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র তথা বর্তমানে বিজেপি নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়। প্রাক্তন তৃণমূল নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়কে বিজেপিতে আনার পিছনে ছিলেন দিলীপ ঘোষ, জয়প্রকাশ মজুমদাররা। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এর জেরে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ক্ষুব্ধ রাজ্য নেতৃত্বের এই অংশের প্রতি।
দলবদলের খেলায় 'পোক্ত' মুকুল
দলবদলের খেলায় পোক্ত মুকুল রায়। বিজেপিতে আসার আগেই তিনি বিভিন্ন বামদলে ভাঙন ঘটিয়ে তৃণমূলের শ্রীবৃদ্ধি করেছিলেন। বিজেপিতে আসার পর বেশ কয়েকমাস তিনি চুপ করে থাকলেও, লোকসভা ভোটের আগে তিনি এবিষয়ে তাঁর দক্ষতা বুঝিয়ে দিয়েছেন। তৃণমূলের একের পর এক নেতাকে বিজেপিতে নিয়ে এসেছিলেন। যাঁদের মধ্যে রয়েছেন কোচবিহারের নিশীথ প্রামাণিক, বিষ্ণুপুরের সৌমিত্র খাঁ, ব্যারাকপুরের অর্জুন সিং। এঁরা বিজেপিতে এসেছেন এবং লোকসভা নির্বাচনে জয়লাভ করেছেন।
প্রতিযোগিতায় ধাক্কা দিলীপের
সূত্রের খবর অনুযায়ী, মুকুল রায়ের দলবদল করানোর দক্ষতায় চাপ বেড়েছিল বিজেপির রাজ্য সভাপতির ওপর। খানিকটা মুকুল রায়কে টেক্কা দিতে চেয়েছিলেন তিনি, কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে দলে নিয়েও নেন। কিন্তু বর্তমান যা পরিস্থিতি তাতে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের তৃণমূলে ফেরা এখন শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা। কেননা, সূত্রের খবর অনুযায়ী শোভন চট্টোপাধ্যায়কে তৃণমূল থেকে ভাঙিয়ে আনার পরিকল্পনা করেছিলেন দিলীপ ঘোষ, জয়প্রকাশ মজুমদাররা। বর্তমান পরিস্থিতিতে তাঁদের সাফাই রাজনীতি এরকম হয়েই থাকে।
মুখ পুড়েছে বিজেপির
এর জেরেই বিপাকেও পড়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। মুখ পুড়েছে তাদের। সঙ্গে দিলীপ ঘোষেরও। কেননা শোভন-বৈশাখীর দিল্লিতে গিয়ে যোগদানের সময়ই প্রশ্ন উঠেছিল বৈশাখী কত বড় নেত্রী যে তাঁকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে যোগদান করাতে হবে। তবে সেই সময় শোভন চট্টোপাধ্যায়ের অভিজ্ঞতার কথা বলে বিষয়টি চাপা দেওয়া হয়েছিল।
প্রশ্ন উঠেছিল আগেও
শোভন চট্টোপাধ্যায়কে দলে নেওয়ার সময়েই প্রশ্ন উঠেছিল বিজেপির অন্দরমহলে। কেননা নারদা স্টিং অপারেশনে( ভিডিও পরীক্ষা করে দেখেনি বেঙ্গলি ওয়ান ইন্ডিয়া) পুরসভার অফিসে বসে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে তোয়ালেতে জড়িয়ে টাকা নিতে দেখা গিয়েছিল। ফলে প্রশ্ন উঠেছিল তাহলে কি নারদা নিয়ে নরম অবস্থা নিচ্ছে বিজেপি?
শোভনের তৃণমূলে যাওয়া সময়ে অপেক্ষা
প্রথমে ভাইফোঁটায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি যাওয়া। তারপর তাঁক নিরাপত্তা ফিরিয়ে দেওয়া। দুই ঘটনার জেরে, শোভন চট্টোপাধ্যায়ের তৃণমূলে ফেরা এখন শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।