অধীরের গড়ে টিকি পাওয়া যাচ্ছে না কংগ্রেসের, মমতার পাশাপাশি উড়ছে বিজেপির নিশান
এতদিন নবাবের জেলায় দাঁত ফোটানোর ক্ষমতা ছিল না কোনও দলের। এমনকী তৃণমূলও পারেনি অধীর-গড়ে ঘাসফুল ফোটাতে। কিন্তু ২০১৬ সালের পর থেকেই চাকা ঘুরতে শুরু করে।
এতদিন নবাবের জেলায় দাঁত ফোটানোর ক্ষমতা ছিল না কোনও দলের। এমনকী তৃণমূলও পারেনি অধীর-গড়ে ঘাসফুল ফোটাতে। কিন্তু ২০১৬ সালের পর থেকেই চাকা ঘুরতে শুরু করে। তৃণমূলের থাবায় কংগ্রেস ক্রমেই গর্তে ঢুকে যেতে শুরু করে। এবারের পঞ্চায়েতেই প্রথম বিস্তারলাভ করল তৃণমূল। একইসঙ্গে কংগ্রেসকে ছাপিয়ে ফুটল পদ্মও।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে থেকেই অধীর চৌধুরীর জেলায় তৃণমূল প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করে। কংগ্রেসকে ভেঙে তছনছ করে দেয়। অধীর মিথ ক্ষীণ হতে থাকে ক্রমশই। তবু পঞ্চায়েত ভোটের আগে মনে করা হয়েছিল, কংগ্রেস ভাঙলেও ভোটে বিশেষ প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না তৃণমূল। কংগ্রেসের আধিপত্য বজায় থাকবে। কিন্তু আদতে দেখা গেল, কংগ্রেস ধুয়েমুছে সাফ। সেখানে তৃণমূলের জয়জয়কার হল, তৃণমূলের সঙ্গে নবাব-গড়ে ঢুকে পড়ল বিজেপিও।
[আরও পড়ুন:মোদীর সরকারকে ফ্যাসিস্ট অ্যাখ্যা! ৫ মানবাধিকার কর্মীর গ্রেফতারে প্রতিবাদ বিশিষ্টদের]
পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনে মুর্শিদাবাদে কংগ্রেসকে টেক্কা দিল বিজেপি। বেলডাঙার মহুলা এক নম্বর ও শক্তিপুরের চৌরিগাছা গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করল তারা। কার্যত দ্বিতীয় শক্তি হয়ে বিজেপির আবির্ভাব হল কংগ্রেসের গড়ে। কংগ্রেস হয়ে গেল তৃতীয়। কংগ্রেসকে সাইনবোর্ড করে শাসক দলের রমরমাতেও নবাব-গড়ে বিজেপির এই বোর্ড গঠন রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
[আরও পড়ুন: কোথায় কালো টাকা! বাতিল নোটের প্রায় পুরোটাই ফিরেছে ব্যাঙ্কে, রিপোর্ট খোদ আরবিআইয়ের]
উল্লেখ্য, মহুলা এক নম্বর পঞ্চায়েতর নির্বাচনে বিজেপি ১৪টি আসনে জয়যুক্ত হয়। তৃণমূল জেতে চারটি আসনে। সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবেই বিজেপি বোর্ড গঠন করে। তেমনই সাটুই চৌরিগাছা গ্রাম পঞ্চায়েতে ১৭টি আসনের মধ্যে বিজেপি দখল করে ১১টি আসন। ৬টিতে জয়যুক্ত হয় তৃণমূল কংগ্রেস। কংগ্রেসের গড়ে এইভাবে খাতা খুলতে পেরে বিজেপি শিবির উচ্ছ্বসিত। এই উত্থানকে আগামী দিনে রাজ্যে পরিবর্তনের ইঙ্গিত বলে মনে করছে গেরুয়া শিবির।
[আরও পড়ুন:'মোদী-দিদি এক কয়েনের এপিঠ-ওপিঠ', আমডাঙা হিংসায় গোপন আঁতাতের তোপ ইয়েচুরির]