রাজ্য বিধানসভায় সর্বদল বৈঠক বয়কট ‘বিরোধী’ বিজেপির, অধিবেশন শুরুর দিনেই সংঘাত
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিধানসভার বাজেট অধিবেশন শুরু হচ্ছে সোমবার। এদিনই বিধানসভায় শুরু হয়ে গেল শাসক-বিরোধী সংঘাট। অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা সর্বদল বৈঠক বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিধানসভার বাজেট অধিবেশন শুরু হচ্ছে সোমবার। এদিনই বিধানসভায় শুরু হয়ে গেল শাসক-বিরোধী সংঘাট। অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা সর্বদল বৈঠক বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি। বিধানসভার অধিবেশন শুরুর আগেই সংঘাতেই সূচনা হয়ে গেল এই বয়কটে। এদিনই রাজ্যপালের অধিবেশন দিয়ে শুরু হয় বাজেট অধিবেশন।
সর্বদল বৈঠক বয়কটের কারণ প্রথমে সুস্পষ্ট হয়নি। তবে খানিক বাদেই তা স্পষ্ট হল। বাজেট অধিবেশেনে রাজ্যপালের ভাষণ শুরুর আগেই বিজেপি ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখান। পুরভোটে সন্ত্রাসের প্রতিবাদে বিধানসভা অধিবেশন শুরুর আগেই ওয়েলে নেমে বিজেপি বিধায়করা বিক্ষোভ দেখান। ফলে যে আশঙ্কা করা হয়েছিল, বিধানসভায় সংঘাত শুরু হয়ে গেল শাসক ও বিরোধী দলের বিধায়কদের মধ্যে।
বিধানসভার অধিবেশন শুরুর আগে প্রথামাফিক সর্বদল বৈঠক ডাকেন স্পিকার। সেইমতো বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠক ডাকেন। কিন্তু বিধানসভায় সেই সর্বদল বৈঠকে যোগ দেননি বিজেপির কোনও বিধায়ক। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিধানসভায় সর্বদল বৈঠক বয়কট করেন।
প্রধান বিরোধী দল বিজেপি বৈঠক বয়কট করায় সংঘাতের আবহ তৈরিই ছিল। সেই আবহেই বিজেপির সমস্ত বিধায়ক বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখান। বিজেপি বিধায়কদের বিক্ষোভের জেরে রাজ্যপাল ভাষণ পর্যন্ত শুরু করতে পারেননি। সেষ মুখ্যমন্ত্রীকে হস্তক্ষেপ করতে হয়।
প্রধান বিরোধী দল বিজেপি বৈঠক বয়কট করায় সংঘাতের আবহ তৈরিই ছিল। সেই আবহেই বিজেপির সমস্ত বিধায়ক বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখান। বিজেপি বিধায়কদের বিক্ষোভের জেরে রাজ্যপাল ভাষণ পর্যন্ত শুরু করতে পারেননি। শেষে মুখ্যমন্ত্রীকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। তিনি রাজ্যপালকে অনুরোধ করেন বিধানসভা ছেড়ে না যেতে। তারপর রাজ্যপাল উদ্যোগ নেন বিক্ষোভ থামিয়ে ভাষণ শুরু করতে। তিনি নিজে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে ডেকে কথা বলেন।
তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়কদের তরফে প্রথমে প্রতিবাদ জানানো হয়েছিল বিজেপির এই বিক্ষোভ অবস্থানের বিরুদ্ধে। পরে তাঁদের দেখা যায় অনুরোধ করতে। কিন্তু বিজেপি কোনও আর্জিই না মেনে বিক্ষোভ চালাতে থাকে। এদিনের এই ছবিতে স্পষ্ট বিধানসভা অধিবেশন এবার হবে উচ্চগ্রামে। শুরুর দিন থেকেই সেই আভাস রইল। আভাস রইল সর্বদল বৈঠক বয়কট থেকেই।
রাজ্য বিধানসভা অধিবেশন নিয়ে এবার অনেক আগে থেকেই বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। বাজেট অধিবেশনের চিঠি মন্ত্রিসভার অনুমোদন না নিয়েই পাঠানো হয়েছিল রাজ্যপালের কাছে। সেই ভুল সংশোধন করে ফের ফাইল পাঠানো হয়। সেখানে আবার দুপুর দুটোর পরিবর্তে রাতে দুটোয় অধিবেশন শুরুর কথা উল্লেখ ছিল। তা ভুলক্রমে হয়েছে বলে বোঝা গেলেও রাজ্যপাল রাত দুটোয় বাজেট অধিবেশন শুরুর অনুমতি দিয়েছিলেন। পরে সেই ভুল শোধরানো হলেও সর্বদল বৈঠক থেকে যে সংঘাতের আবহ তৈরি হল, প্রথম দিনেই সেই আঁচ বোঝা গেল বিধানসভায়।