বৃহত্তর বাংলাদেশ বানানোর চক্রান্ত! তপশিলি কমিশনে অভিযোগ জানাচ্ছে বঙ্গ বিজেপি
বৃহত্তর বাংলাদেশ বানানোর চক্রান্ত চলছে। লালবাজার থেকে ছাড়া পেয়েই বিস্ফোরক সুকান্ত মজুমদার। আজ মোমিনপুরে যাওয়ার পথে আটক করা হয় তাঁকে। আর এরপরেই উত্তাল হয়ে ওঠে বাংলা। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গাতে শুরু হয় বিক্ষোভ-অবরোধ। যদিও লাল
বৃহত্তর বাংলাদেশ বানানোর চক্রান্ত চলছে। লালবাজার থেকে ছাড়া পেয়েই বিস্ফোরক সুকান্ত মজুমদার। আজ মোমিনপুরে যাওয়ার পথে আটক করা হয় তাঁকে। আর এরপরেই উত্তাল হয়ে ওঠে বাংলা। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গাতে শুরু হয় বিক্ষোভ-অবরোধ। যদিও লালবাজার থেকে ছাড়া পেয়েই তৃণমূল সরকারকে তীব্র আক্রমণ বিজেপি রাজ্য সভাপতির।
বলেন, মোমিনপুরে ৪৮ ঘন্টা ধরে অশান্তি করা হল। চারটে থেকে সন্ধ্যা ৮ টা পর্যন্ত লাইট বন্ধ করে রাখা হয়েছিল বলেও দাবি বিজেপির রাজ্য সভাপতির। আর এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তাঁর আরও দাবি, মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন যে গরু দুধ দেয় তাঁর লাথি খাওয়াও ভালো। আর সেই নীতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চলছেন বলে আক্রমণ।
আর তা বলতে গিয়েই সুকান্ত বলেন, বৃহত্তর বাংলাদেশ বানানোর চক্রান্ত চলছে। আর সেই চক্রান্ত যাতে কোনও ভাবে মিডিয়ার সামনে না আসে সেই কারণে মোমিনপুরে তাঁকে যেতে দেওয়া হয়নি বলে দাবি বিজেপির রাজ্য সভাপতির। শুধু তাই নয়, রাজ্য সরকার সম্পূর্ণ ভাবে জেহাদিদের কাছে আত্মসমপর্ন করেছে বলেও দাবি।
আর এই বিষয়ে আরও বৃহত্তর আন্দোলন হবে বলেও হুঁশিয়ারি সাংসদের। এমনকি অমিত শাহ সহ কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তবে কেন্দ্রীয় বাহিনী অবিলম্বে নামানো উচিৎ বলে জানিয়েছেন সুকান্ত। এই বিষয়ে ইতিমধ্যে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন বলেও দাবি তাঁর। আদালতকে পুরো বিষয়টি জানানো হবে। এমনকি কেন্দ্রের যে তপশিলি কমিশন রয়েছে সেখানেও এই বিষয়ে অভিযোগ জানানো হবে বলে জানিয়েছেন সুকান্ত।
তাঁর মতে, তপশিলা জাতি ভুক্ত মানুষের উপর এই হামলা হয়েছে। ফলে কমিশনের প্রতিনিধিদের সরজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার কথা বলা হবে বলেও জানিয়েছেন বালুরঘাটের এই সাংসদ। আগামীদিনে পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি অন্ধকার বলেও মন্তব্য তাঁর। অন্যদিকে এখনই এই বিষয়ে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি জানানো হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন সুকান্ত।
তাঁর মতে, আমরা আগে কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইছি। মানুষকে আগে বাঁচানো দরকার। তবে রাষ্ট্রপতি শাসন প্রসঙ্গে সুকান্তের মতে, বাংলায় মানুষ যেদিন সুযোগ পাবেন সেদিনই এই সরকারকে উপড়ে ফেলে দেবে। অন্যদিকে নোংরা রাজনীতি বিজেপি করছে বলে আক্রমণ তৃণমূলের।
বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির অবস্থা নিয়ে সুকান্ত-শুভেন্দুকে আক্রমণ কুণাল ঘোষের। তাঁর মতে, দেশের যা অবস্থা তাতে সেনাবাহিনী নামানো উচিৎ। বাংলার পুলিশ যথেষ্ট ভালো কাজ করছে বলেও মন্তব্য করেন কুণাল ঘোষ।