স্বামীজি কার! দড়ি টানাটানি পদ্ম-ঘাসফুলে, 'বিবেকের ডাক ভার্সেস 'বিবেক চেতনা', রাজপথে যুযুধান দুই পক্ষ
স্বামীজি কার! দড়ি টানাটানি পদ্ম-ঘাসফুলে, 'বিবেকের ডাক ভার্সেস 'বিবেক চেতনা', রাজপথে যুযুধান দুই পক্ষ
একদিকে গেরুয়া পতাকা অন্যদিকে স্বামীজির ছবি হাতে রাজপথে নামলেন দুই শিবির। উপলক্ষ্য স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন। স্বামীজি কার তাই প্রমাণে মরিয়া দুই শিবির। একদল বাংলার মণীষিদের দখল নিতে চান। আরেক দল বাঙালিয়ানা প্রমাণে বাংলার মণীষিদের নিয়ে প্রচারে মগ্ন। স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে সরগরম শহরের রাজপথ। শ্যামবাজার থেকে গেরুয়া পতাকা হাতে মিছিল শুরু করেছে বিজেপি। অন্যদিকে স্বামীজির ছবি নিয়ে দক্ষিণ কলকাতার গোলপার্ক থেকে মিছিল শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
পথে বিজেপি
স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন নিয়ে প্রবল উত্তেজনা বঙ্গের রাজনৈতিক মহলে। সকাল থেকেই স্বামীজির সিমলা স্ট্রিটের বাড়িতে রাজনৈতিক নেতাদের আনাগোনা বেড়েছে। শুভেন্দু অধিকারী সকালে গিয়েই স্বামীজির মূীর্তিতে মালাদিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। এবং এই প্রথমবার নয় ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি আসছেন এখানে এই একই দিনে। আজ এসেছেন একেবারে সাধারণ ভারতীয় নাগরিক হিসেবে। মমতার বহিরাগত তত্বকে খোঁচা দিয়ে মন্তব্য করেছেন শুভেন্দু। তারপরেই বিজেপির অন্য নেতারা শ্যামবাজারে নির্ধারিত কর্মসূচি শুরু করেন। বিবেকের ডাক কর্মসূচিতে অংশিদার হয়েছিলেন মুকুল রায়, কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, সব্যসাচী দত্ত, দিলীপ ঘোষরা।
বিবেক স্মরণে তৃণমূলও
বিজেপি যখন ময়দানে নেমেছে তখন জমি ছাড়তে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেসও। আজই পাল্টা কর্মসূচি করছে তৃণমূল কংগ্রেসও। গোলপার্কে রামকৃষ্ণ মিশনে স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিমরা। তারপর সেখান থেকে বিবেকানন্দের ছবি নিয়ে মিছিল শুরু করেন তাঁরা।
বিকেলে অভিষেকের সভা
এদিকে বিকেলে তৃণমূল কংগ্রেস যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে মিছিল রয়েছে। গোলপার্ক থেকে শুরু হবে মিছিল। বিকেলেই আবার দুর্গাপুরে রয়েছে শুভেন্দু অধিকারী ও বাবুল সুপ্রিয়র রোড শো। স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে এক প্রকার সরগরম বাংলার রাজনৈতিক মহল। কোনও দলই এক ইঞ্চি জায়গা ছাড়তে রাজি নয়। কোনওভাবেই তাঁরা জমি ছাড়তে নারাজ।
বিবেক স্মরণেও রাজনীিত
বাংলার মণীষিদের অপমান করছেন বলে অভিযোগ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস। তারপর থেকেই বাংলার মণীষিদের সম্মানে একাধিক কাজ শুরু করেছে বিজেপি শিবির। অমিত শাহ দ্বিতীয়বার রাজ্য সফরে এসেই প্রথমে যান সিমলা স্ট্রিটে স্বামী বিবেকানন্দের বাড়িতে। সেখান থেকে মেদিনীপুরে শহিদ ক্ষুদিরামের মূর্তিতে মালা দিয়ে তাঁর পরিবারের লোকেদের সম্মান জানান। পরে সোজা চলে যান শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথের আশ্রমে।
'রাজনৈতিক পরিবারতন্ত্র আইনকে ভয় পায়না, দেশকে অক্ষম করে', ফের টার্গেটে তির ছুঁড়লেন মোদী