গদাই নেই, গোষ্ঠীও নেই! অনুব্রত দিলেন 'ভবিষ্যতে'র নির্দেশ
এতদিন পর্যন্ত না মানা কথাই কার্যত স্বীকার করে নিলেন অনুব্রত মণ্ডল। বিভিন্ন সময়ে বীরভূমের নানুর-সহ বিভিন্ন জায়গায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে একাধিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটলেও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা স্বীকার করতে চান
এতদিন পর্যন্ত না মানা কথাই কার্যত স্বীকার করে নিলেন অনুব্রত মণ্ডল। বিভিন্ন সময়ে বীরভূমের নানুর-সহ বিভিন্ন জায়গায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে একাধিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটলেও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা স্বীকার করতে চাননি তিনি। সূত্রের খবর অনুযায়ী, নানুরে দলের সভায় অনুব্রত বলেন, এলাকার প্রাক্তন বিধায়ক দল ছাড়ার পরে এলাকায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কমেছে।
'গদাই নেই, গোষ্ঠীও নেই'
নানুরে বিধানসভা ভিত্তিক কর্মী সম্মেলনে হাজির হয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। সেখানে তাঁকে বলতে শোনা যায়, গদাইও নেই, গোষ্ঠীও নেই। সেই বিধানসভায় এবার ভাল লিড হওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি। প্রসঙ্গত ২০১৬-তে নানুর বিধানসভা দখল করেছিল সিপিএম।
'সব বুথে লিড চাই'
অনুব্রত মণ্ডল দলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব না থাকার কথা বললেও দলের কর্মীরা কিন্তু তা মানতে নারাজ। অনুব্রত মণ্ডলের সামনেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মিটিয়ে নেওয়ার কথা বলতেও শোনা যায় এখ নেতাকে। সেই সময় অনুব্রত মণ্ডল বলেন, তিনি কোনও কথা শুনবেন না। এই বিধানসভা এলাকায় হারা জেতা সব বুথে লিড চান তিনি। নানুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলেন, নিড না হলে, পদও থাকবে না।
গদাধর হাজরা আর কাজল শেখের উত্থান পতন
দীর্ঘদিন ধরেই নানুরে গদাধর হাজরা আর কাজল শেখের দ্বন্দ্ব। তার মধ্যে ২০১১ সালে নানুর থেকে গদাধর হাজরা জিতলেও, ২০১৬-তে হেরে যান। এরপর গদাধর হাজরাকে জেলার যুব কৃণমূলের সভাপতি করা হয়। সেই সময় কাজল শেখ কার্যত ব্রাত্য হয়ে পড়েন। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের সময় তৃণমূলের তরফে দায়িত্ব দেওয়া হয় কাজল শেখকে। তাঁর নেতৃত্বেই এলাকায় ভাল ফল করে তৃণমূল।
বিজেপিতে যোগ গদাধরের
লোকসভা ভোটের পর কাজল শেখকে নানুর ব্লকে দলের কার্যকরী সভাপতি করা হয়। লোকসভা ভোটে ভাল কাজ করার পুরস্কার হিসেবে হিসেবে তাঁকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপরেই অবশ্য গদাধর হাজরা বিজেপিতে যোগ দেন।
'মহারাষ্ট্রে সংবিধান বিরোধী সরকার গঠন', সংসদে সংবিধান দিবসের যৌথ অধিবেশন বয়কট বিরোধীদের
অযোধ্যা মামলায় রিভিউ পিটিশন ইস্যু: ১০০ জন মুসলিমের সঙ্গে মুখ খুললেন শাবানা-নাসিরউদ্দিনও