দার্জিলিংকে কাশ্মীর বানানোর চক্রান্ত! গুরুংয়ের জঙ্গি-যোগের কথা সতীর্থের মুখেই
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাহাড়ে জঙ্গি-যোগের কথা তুলে ধরেন। এবার বিমল গুরুংয়ের সহযোগীর মুখেই শোনা গেল সেই জঙ্গি যোগের কথা।
বিমল গুরুংয়ের জঙ্গি যোগের কথা এবার শোনা গেল তারই এক সময়ের ছায়াসঙ্গী বিনয় তামাংয়ের মুখে। শুক্রবার কলকাতায় এসে বিনয় তামাং বলেন, 'আমরা কখনই চাই না দার্জিলিং কাশ্মীর হয়ে যাক। কিন্তু দার্জিলিংকে কাশ্মীর করার চেষ্টা চলছে। আমরা কিছুতেই দার্জিলিংকে কাশ্মীর বানাতে দেব না।'
তিনি বলেন, 'পাহাড়কে অশান্ত করার জন্য জঙ্গিদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন বিমল গুরুং। এটা পাহাড়ের পক্ষে মঙ্গলজনক নয়। আসলে পাহাড়ে বিমল গুরুংয়ের সমর্থন কমেছে। তাই জঙ্গিদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে পাহাড়ে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু এই অভিসন্ধি চরিতার্থ হবে না। পাহাড়ে আমরা শান্তি বজায় রাখবই। পাহাড়বাসীর উদ্দেশ্যে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানালেন বিনয় তামাং।'
উল্লেখ্য, এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাহাড়ে জঙ্গি-যোগের কথা তুলে ধরেন। এই অশান্তির পিছনে মাওবাদীরা রয়েছেন বলে অভিযোগ করেছিল মমতার প্রশাসন। এবার বিমল গুরুংয়ের সহযোগীর মুখেই শোনা গেল সেই জঙ্গি যোগের কথা। বিনয় তামাং বলেন, গুরুং শান্তির পক্ষে নেই। সেই কারণেই মানুষ তাঁর সঙ্গে নেই।
তিনি আরও বলেন, 'পাহাড়ে শান্তি ফেরার পর ফের একাংশ উত্তপ্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। তারই জেরে হিংসার ঘটনা ঘটছে পাহাড়ে। এই হিংসা একান্তই কাম্য নয়। অবিলম্বে এইসব বন্ধ হওয়া দরকার। পাহাড়ে যা ঘটেছে তা দুঃখজনক। এই ঘটনাই প্রমাণ করেছে, পাহাড়ে অশান্তির পিছনে রয়েছে জঙ্গি-যোগ।' এই ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবি করেন তিনি। পুলিশ একে-৪৭ ও বিপুল পরিমাণ কার্তুজ উদ্ধা্র করেছে।
বিনয় তামাং আরও বলেন, 'বিমল গুরুং আর পাহাড়ে ঢুকতে পারবেন না। তার কারণ পাহাড়বাসী অশান্তি চান না। তাঁরা বুঝে গিয়েছেন, পাহাড়ে অশান্তি পাকিয়ে নিজেদের ক্ষতি ছাড়া আর কিছু হবে না। আমরাও শান্তিভঙ্গের পক্ষে।' ১৫ অক্টোবর রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করবেন বিনয় তামাং। এরপর ১৬ তারিখ রাজ্য সরকারের সঙ্গে বৈঠক করে তিনি ফিরবেন দার্জিলিংয়ে।